কৃষকের রক্তাক্ত লাশ ঝুলছিল গাছের ডালে, ভাঙা ছিল দু’পা
Published: 4th, May 2025 GMT
শেরপুরে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার দু’পা ছিল ভাঙা। আজ রোববার সকালে সদর উপজেলার মুন্সীরচর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. জুবায়দুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ফজলুল হক (৪৫) সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সমেশ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফজলুল হক বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি মেহগনি গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা প্রথমে মনে করেছিলেন, তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। কিন্তু পরে দেখতে পান তার দুই পা ভেঙে মাটিতে লেগে আছে। মরদেহে রক্তও দেখা যায়। তখন বিষয়টি সদর থানা-পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপরে, খোলা হলো বাঁধের ১৬টি গেট
রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) গতকাল সোমবার রাত ১২টা ২ মিনিটে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানির চাপ বাড়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কাপ্তাই বাঁধের সব কটি গেট খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতেই গেট খুলে দেওয়া হয়।
পানি ছাড়ার আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৮ দশমিক ৫ ফুট। ১০৮ ফুট উচ্চতা কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত।
এদিকে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল থাকায় এর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।