শেরপুরে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার দু’পা ছিল ভাঙা। আজ রোববার সকালে সদর উপজেলার মুন্সীরচর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

শেরপুর সদর থানার ওসি মো. জুবায়দুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফজলুল হক (৪৫) সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সমেশ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফজলুল হক বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি মেহগনি গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা প্রথমে মনে করেছিলেন, তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। কিন্তু পরে দেখতে পান তার দুই পা ভেঙে মাটিতে লেগে আছে। মরদেহে রক্তও দেখা যায়। তখন বিষয়টি সদর থানা-পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 
 
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি মো.

জুবায়দুল আলম বলেন, সুরতহাল শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ