রাজশাহী রেলস্টেশনে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত
Published: 5th, May 2025 GMT
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হননি। বগিটি উদ্ধারে কাজ চলছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ছয়টায় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে। সকাল সাতটার দিকে রাজশাহী স্টেশনে আসার পর বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায় ট্রেনটি ‘ঠ’ বগির একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে।
রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করার পর ঘটনাটি ঘটেছে। ‘ঠ’ বগির একটি চাকা ফেটে গেছে। ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশা করছেন ট্রেনটি ছাড়তে পারবেন। অন্য আন্তনগর ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলকারী একটি লোকাল ট্রেন আটকে আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র নট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’