লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন আর্নল্ড, যাচ্ছেন কোথায়?
Published: 5th, May 2025 GMT
দুই দশকের পথচলা। স্বপ্নে মোড়া এক অধ্যায়ের অবসান। লিভারপুল শহরের বুক চিরে উঠে আসা এক তরুণ, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, এবার বিদায়ের সুরে বাজাচ্ছেন নিজের শেষ গান। চলতি মৌসুমের পর, চুক্তির ইতি টানতেই তিনি পা রাখবেন নতুন অভিযানে।  
২৬ বছর বয়সী এই রাইটব্যাক সৈনিককে ঘিরে জোর গুঞ্জন স্পেনের রাজা, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি, একেবারে বিনা মূল্যে। লিভারপুল প্রাণপণ চেষ্টা করেছে প্রিয় সন্তানকে ধরে রাখতে, যেমনটি করেছে সালাহ কিংবা ফন ডাইকের বেলায়। কিন্তু আর্নল্ড বেছে নিয়েছেন অচেনা দিগন্তের ডাক।
এই শহরে, এই ক্লাবে তিনি পেয়েছেন সব— শিরোপা, সম্মান, ভালোবাসা। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে, যাদের রক্তেই জড়িয়ে থাকে নতুন কিছু আবিষ্কারের পিপাসা। ক্লাবের দেওয়া বিশাল বেতনের প্রস্তাবও টলাতে পারেনি সেই তৃষ্ণাকে। অর্থ নয়, তার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ছিল নতুন অভিজ্ঞতার অন্বেষণ।
আরো পড়ুন:
‘ভ্যান ডাইক ও সালহার চুক্তি নবায়ন উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফসল’
শিরোপা জয়ের পথে লিভারপুল, সালাহর নতুন রেকর্ড
স্পোর্টিং ডিরেক্টর রিচার্ড হিউজ দায়িত্ব নেওয়ার আগেই আর্নল্ডের সঙ্গে আলোচনার সুর বেঁধেছিলেন। আগ্রহ ছিল, চেষ্টা ছিল, কিন্তু চুক্তির মোড় ঘোচেনি। শেষতক বসন্তের এক বিকেলে নতুন কোচ আর্নে স্লটের কাছে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তিনি।
জার্গেন ক্লপের ছত্রছায়ায় শুরু হয়েছিল এই স্বপ্নযাত্রা। সেই ক্লপই তাকে তৈরি করেছিলেন সহ-অধিনায়ক হিসেবে। নতুন কোচ স্লটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও আর্নল্ড বুঝেছেন—প্রেম হয়তো চিরন্তন, কিন্তু পথচলা চিরকাল এক থাকে না।
রিয়াল মাদ্রিদ তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল জানুয়ারির দলবদলের আগেই। তখন লিভারপুল ‘না’ বললেও, আজ দৃশ্যপট বদলে গেছে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু স্বাক্ষরিত না হলেও, বার্নাব্যুর আলো-ছায়া যেন তাকে আহ্বান করছে।
লিভারপুলের হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জয় করেছেন সদ্য। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ, এফএ কাপ ও দুটি করে কারাবাও কাপ—সবই জিতেছেন অলরেডসের জার্সি গায়ে।
২০১৬ সালে যে তরুণটি অভিষেক করেছিলেন, তিনিই আজ ৩৫২ ম্যাচের অভিজ্ঞ যোদ্ধা। করেছেন ২৩টি গোল, যার শেষটি মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, লেস্টারের জালে।
আর্নল্ডের বিদায় রাইটব্যাক পজিশনে খুলে দিচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। হয়তো সুযোগ পাবেন তরুণ কনর ব্র্যাডলি, কিংবা কোচ স্লট খুঁজে নেবেন নতুন কাউকে লিভারপুলের ডান প্রহরী বানানোর জন্য।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল নত ন ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’