ওয়ানডে র্যাঙ্কিং: দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ, সব শেষ কবে এত বাজে অবস্থা ছিল
Published: 5th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেট। এক বছর আগেও এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু বদলে গেছে দিন, সর্বশেষ ১২ মাসে ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশ ডাহা ফেল বলাই যায়। ফেবারিট সংস্করণে এ সময়ে আটটি ম্যাচ খেলে সাতটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
মাঠে খারাপ করার প্রভাব পড়েছে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত নভেম্বরের আফগানদের কাছে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ নেমে যায় র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে। আজ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদ করার পর বাংলাদেশ নেমে গেছে দশে!
এবারের আগে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সর্বশেষ কবে ১০ নম্বরে ছিল, মনে করতে পারেন? যদি মনে করতে পারেন, আপনি অবশ্যই দুর্দান্ত স্মৃতিশক্তির অধিকারী। কম তো নয়, আজকের আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশে ছিল বাংলাদেশ। সে বছরের ১৬ অক্টোবর প্রথমবার আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ। ১৯ বছর পর আবার বাংলাদেশ আবার ফিরল পুরোনো অবস্থানে।
সর্বশেষ ১২ মাসে মাত্র একটি ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়