ইনোভেশন সামিট ২০২৫ পর্বের সূচনা করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম বিডিঅ্যাপস। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের তরুণ ডেভেলপার ও প্রযুক্তিপ্রেমীরা জীবনাচরণের সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সল্যুশন উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।
বিডিঅ্যাপস রবি আজিয়াটার ডিজিটাল উদ্যোগ। বিডিঅ্যাপস এখন দেশের সুপরিচিত মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যা স্থানীয় ডেভেলপারদের উদ্ভাবনী সমাধান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় টুলস, রিসোর্স ছাড়াও বিশেষ সহায়তা করে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিডিঅ্যাপস তরুণ যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে ইনোভেশন সামিট আয়োজন করছে, যা উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। এমন উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
রবি আজিয়াটা পিএলসির সিসিও শিহাব আহমাদ বলেন, বিডিঅ্যাপসের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে উদ্ভাবনর পথকে সুগম করা। বাংলাদেশের জন্য শক্তিশালী ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, সারাদেশের প্রযুক্তির ইকোসিস্টেম তৈরিতে বিডিঅ্যাপস কাজ করছে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পকে নতুন রূপ দেওয়ার সঙ্গে তরুণদের উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী করছে।
রবি আজিয়াটা পিএলসির মহাব্যবস্থাপক শফিক শামসুর রাজ্জাক বলেন, বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট এমন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তরুণরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও বাস্তবমুখী সমস্যা সমাধানে নিজেদের ডিজিটাল আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবেন। তরুণরা আইডিয়া বাস্তবায়নে সময়োপযোগী ভূমিকা রাখবে। সামিটের মূল উদ্দেশ্য ইনোভেটিভ ডিজিটাল সল্যুশন ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াকে গতিশীল করা ও দেশের প্রযুক্তি অঙ্গনের ইকোসিস্টেমের উন্নয়ন করা।
কয়েকটি ধাপে বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহীরা ‘বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট ডটকম’ সাইটে নিবন্ধন করে আইডিয়া জমা দিতে পারবেন। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচিত করবেন।
বাছাইকৃত দল আগামী ১৯ জুন চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। সেখানে প্রতিযোগীদের দেওয়া উদ্ভাবনী সমাধানের গ্রহণযোগ্যতা ও সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করবেন বিচারকরা। পরে তা দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিযোগিতার মোট পুরস্কারের অর্থ পাঁচ লাখ টাকা। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া প্রতিটি দল পাবে সার্টিফিকেট ও বিডিঅ্যাপস ইকোসিস্টেম ইন্টিগ্রেশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আজ য় ট
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’
ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি
ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!
কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।
৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।
ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।
গোল করলেন জেরেমি ডকু