বন্দরে গ্রাইন্ডিং মেশিনের আঘাতে স্কুল মালির মৃত্যু
Published: 5th, May 2025 GMT
বন্দরে রেক তৈরির কাজ করার সময় গ্রাইন্ডিং মেশিনের আঘাতে ডেভিড ম্রং (৪০) নামে এক স্কুল কর্মচারির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে গত রোববার (৪ মে) বিকেলে স্কুল ছুটির পর তিনি রান্না ঘরে গ্রাইন্ডিং মেশিনে রেক তৈরির কাজ করার সময় এ র্দূঘটনাটি ঘটে।
নিহত ডেভিড ম্রং সুদূর নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানার বিরিসিরির কনিকা গ্রামের মৃত দীলিপ রেমার ছেলে। তিনি ২৪ নং ওয়ার্ড বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার নাজিমউদ্দিন ফকির চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে মালি হিসেবে কাজ করতেন।
বিদ্যালয়ের কর্মচারি রিপন মিয়া জানান, ডেভিড ম্রং নাজিমউদ্দিন ফকির চান উচ্চ বিদ্যালয়ে মালির কাজ করতেন। গত রোববার (৪ মে) বিকেলে স্কুল ছুটির পর তিনি রান্না ঘরে গ্রাইন্ডিং মেশিনে রেক তৈরির কাজ করছিলেন।
এ সময় হঠাৎ অসাবধানতা বশত গ্রাইন্ডিং মেশিনটি তার হাত ফসকে পড়ে যায়। এ সময় ঘুর্ণায়মান মেশিনের সুচালো অংশ লেগে তার হাত ও পেট কেটে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র ক জ কর গ র ইন ড অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’