জুলাই আন্দোলনের ৯ মাস পর জাহিদ মালেক, দুর্জয়সহ ২১৭ জনের নামে মামলা
Published: 5th, May 2025 GMT
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ৯ মাস পর ২১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এস এম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুদেব সাহা, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক জহিরুল করিম, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার বাহাউদ্দিন, সাবেক ওসি হাবিল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ২১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেরাব হোসাইন বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ খাল-পাড় ব্রিজে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করে। এতে আন্দোলনকারী মো.
মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মেহেরাব হোসাইন বলেন, আসামিদের তথ্য-উপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজসহ প্রমাণ সংগ্রহের জন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
কোর্ট থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সোমবার আদালতে সিআর মামলা করেছেন। বিচারক মামলাটি সদর থানা অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, কোর্টে একটি মামলা হয়েছে। এখনও মামলার কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।