ফ্যাশনজগতের অন্যতম বড় আয়োজন মেট গালার এবারের আসর বসেছিল বাংলাদেশ সময় আজ ৬ এপ্রিল ভোরে। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল হলিউড থেকে বলিউডসহ দুনিয়ার সেরা তারকাদের। তাঁরা গালিচায় হেঁটেছেন, ধরা দিয়েছেন ক্যামেরায়। তবে এবারের আসরে রেড কার্পেটের রং লাল ছিল না। বরং ছিল গাঢ় নীলের আধিক্য। খোলাসা করে বললে, পূর্ণচন্দ্রের রাতের আকাশ যেমন নীল হয়, ঠিক তেমন। আর তার মাঝে ছড়ানো সাদা ও হলুদ রঙের ফুল।

কেন এমন নকশা

মার্কিন চিত্রশিল্পী সাই গ্যাভিনের করা এই নকশার মোটিফ ছিল নার্সিসাস ফুল। ফুলটি ড্যাফোডিল নামেই বেশি পরিচিত, বাংলায় যা নার্গিস ফুল। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাভিন জানান, নিউইয়র্কের আপস্টেটে তাঁর স্টুডিওর বাইরেই বহুবর্ষজীবী এই ফুল ধীরে ধীরে শোভা ছড়াচ্ছিল। এটিই তাঁকে মুগ্ধ করেছে।

অন্তঃসত্ত্বা রিয়ানা মাতিয়েছেন মেট গালা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ