এবারের মেট গালার কার্পেটের রং ‘লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান’
Published: 6th, May 2025 GMT
ফ্যাশনজগতের অন্যতম বড় আয়োজন মেট গালার এবারের আসর বসেছিল বাংলাদেশ সময় আজ ৬ এপ্রিল ভোরে। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল হলিউড থেকে বলিউডসহ দুনিয়ার সেরা তারকাদের। তাঁরা গালিচায় হেঁটেছেন, ধরা দিয়েছেন ক্যামেরায়। তবে এবারের আসরে রেড কার্পেটের রং লাল ছিল না। বরং ছিল গাঢ় নীলের আধিক্য। খোলাসা করে বললে, পূর্ণচন্দ্রের রাতের আকাশ যেমন নীল হয়, ঠিক তেমন। আর তার মাঝে ছড়ানো সাদা ও হলুদ রঙের ফুল।
কেন এমন নকশা
মার্কিন চিত্রশিল্পী সাই গ্যাভিনের করা এই নকশার মোটিফ ছিল নার্সিসাস ফুল। ফুলটি ড্যাফোডিল নামেই বেশি পরিচিত, বাংলায় যা নার্গিস ফুল। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাভিন জানান, নিউইয়র্কের আপস্টেটে তাঁর স্টুডিওর বাইরেই বহুবর্ষজীবী এই ফুল ধীরে ধীরে শোভা ছড়াচ্ছিল। এটিই তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
অন্তঃসত্ত্বা রিয়ানা মাতিয়েছেন মেট গালা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তাহীনতায় লাল চাঁদের পরিবার, বাড়িতে মাতম
‘পরিবারের একমাত্র আয়ের লোককে ওরা খুন করেছে। এখন কীভাবে চলবে সংসার? দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কী হবে? আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব? কে আমাদের নিরাপত্তা দেবে? আমার সন্তান তার বাবাকে আর দেখবে না। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’ বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের (৩৯) স্ত্রী লাকি বেগম।
লাল চাঁদের মরদেহ গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়। গ্রামের বাড়িতে এখন চলছে মাতম।
স্বজনেরা বলেন, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এখনো হত্যাকারীদের লোকজন মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। লাল চাঁদের ১০ বছর বয়সী ছেলে সোহান ও ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা। স্ত্রী লাকি বেগম (৩০) জানেন না, কীভাবে বিদ্যালয়পড়ুয়া এই দুই সন্তানকে সান্ত্বনা দেবেন!
আরও পড়ুনশরীর থেঁতলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে১৫ ঘণ্টা আগেস্বজনদের ভাষ্য, লাল চাঁদ যখন সাত মাস বয়সী, তখন বজ্রপাতে মারা যান তাঁর বাবা আইউব আলী। এরপর জীবিকার তাগিদে মা আলেয়া বেগম বরগুনা ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। তখন থেকেই লাল চাঁদ ঢাকায় বসবাস করতেন। তিনি দীর্ঘদিন পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের একটি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি ঘিরেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।
স্বজনদের দাবি, মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে লাল চাঁদের সঙ্গে এলাকার একটি পক্ষের বিরোধ তৈরি হয়। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। গত বুধবার বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে লাল চাঁদকে আটক করে চাঁদার জন্য দফায় দফায় চাপ দেওয়া হয়। তাতেও রাজি না হওয়ায় তাঁকে পাথরের আঘাতে হত্যা করা হয় বলে দাবি স্বজনদের।
নিহত লাল চাঁদ স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার জিঞ্জিরার কদমতলী এলাকায় কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে বসবাস করতেন।
আজ শনিবার দুপুরে বরগুনার ইসলামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লাল চাঁদের স্ত্রী লাকি বেগম হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্না থামাতে পারছিলেন না স্বজনেরাও।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা পরিবারটির খোঁজখবর নিতে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত সোহাগ আমাদের দলীয় লোক। শোকাহত পরিবারটির পাশে আমরা আছি। আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’
লাল চাঁদের বাড়ির সামনে অপেক্ষমাণ স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে