ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা, বিপাকে ৭ হাজার কুয়েট শিক্ষার্থী
Published: 6th, May 2025 GMT
একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার তৃতীয় দিনেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। পাশাপাশি সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু শিক্ষার্থী ১০ থেকে ১৫ শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না।
এদিকে, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এরই মধ্যে দুই দফা ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। আগে থেকেই প্রায় দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে। এর ওপর গত আড়াই মাস কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। এ অবস্থা চলমান থাকায় বাড়ছে সেশনজট।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, উপাচার্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ৬ ভাড়াটিয়াকে ঘরে রেখে তালা দিলেন মালিক
সুনামগঞ্জে বাসা ভাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ভাড়াটিয়া একটি পরিবারকে ঘরের ভিতরে রেখেই তালা দিলেন মালিক ইউসুফ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর ধরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় একটি টিনের বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যসহ বসবাস করে আসছেন চানাচুর বিক্রেতা ইমন বর্মন। বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করছেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ভাড়া পরিশোধের সময় কয়েক তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় দুর্ব্যবহার করেন বাড়ির মালিক ইউসুফ চৌধুরী। সময় মতো ভাড়া পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করায় ভাড়াটিয়া ইমন, তার মা জবা বর্মনসহ ছয়জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে জানিয়ে অন্যত্র চলে যান।
এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ঘরে বন্দি অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাচ্চু মিয়া বাসার মালিকের থেকে চাবি এনে তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আরো পড়ুন:
যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার
ইমন বর্মন বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকি। জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার আমি, আমার মাসহ ৬ জনকে ঘরে রেখে তালা মেরে চলে যান বাড়ির মালিক।’’ তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/মনোয়ার/বকুল