নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায় ভারত-শাসিত কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা’ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জেলাগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা’ থেকে গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয় ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে জানিয়েছে, সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের জন্য আবাসন, খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ করা হবে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে ভারতের হামলা: তারকারা কী বলছেন?

পাকিস্তানে হামলায় যেসব যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত

ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ নামে অভিহিত করে একাধিক হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে চালানো ভারতের সামরিক অভিযান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটিকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারতের হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানী সেনাদের গোলাবর্ষণে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ