নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার মসজিদে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে, আমপারার ১০টি সুরা অর্থসহ মুখস্থ ছাড়াও রাসুল (স.)-এর জীবনী পাঠ, পড়তে না পারলে কারো মাধ্যমে শুনতে হবে; এ সব শর্তসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০টি গাছ লাগানো, দুটি কুকুর ও দুটি বিড়াল পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) এ আদেশ দেন সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক। এ সব নির্দেশনা সম্বলিত একটি বন্ড তৈরি করে, এতে আসামির স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। 

জামিনপ্রাপ্ত আসামির নাম সাদ্দাম হোসেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কিসমত রসুলপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামে বাস করেন। তিনি মাদক মামলার আসামি।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড 

সিলেটে বাবাকে হত্যা: ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

বন্ড সম্পাদনকারী আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আদালতের শর্ত প্রতিপালনে নিশ্চয়তাস্বরূপ ৫০০ টাকার বন্ড সম্পাদনের আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী এক বছর আসামিকে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ওই সময়ে কোনো অপরাধ করা যাবে না। শান্তির লক্ষ্যে সদাচরণ করতে হবে এবং আদালত, প্রবেশন অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলব মতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হতে হবে। মাদক সেবন করা যাবে না। মাদক কারবারিদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে না। এতে আরো কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।

মুক্তির পর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমি খুব খুশি। খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে ভুল পথে গিয়েছিলাম, এখন থেকে আদালতের নির্দেশনা পালন করে ভালো পথে চলতে চাই।’’

যেন ভালো পথে চলতে পারেন এ জন্য সাদ্দাম সবার কাছে দোয়া চান।

ঢাকা/নূর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ