নামাজ পড়া ও গাছ লাগানোর শর্তে আসামির জামিন
Published: 7th, May 2025 GMT
নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার মসজিদে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে, আমপারার ১০টি সুরা অর্থসহ মুখস্থ ছাড়াও রাসুল (স.)-এর জীবনী পাঠ, পড়তে না পারলে কারো মাধ্যমে শুনতে হবে; এ সব শর্তসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০টি গাছ লাগানো, দুটি কুকুর ও দুটি বিড়াল পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) এ আদেশ দেন সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক। এ সব নির্দেশনা সম্বলিত একটি বন্ড তৈরি করে, এতে আসামির স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত আসামির নাম সাদ্দাম হোসেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কিসমত রসুলপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামে বাস করেন। তিনি মাদক মামলার আসামি।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে বাবাকে হত্যা: ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বন্ড সম্পাদনকারী আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আদালতের শর্ত প্রতিপালনে নিশ্চয়তাস্বরূপ ৫০০ টাকার বন্ড সম্পাদনের আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী এক বছর আসামিকে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ওই সময়ে কোনো অপরাধ করা যাবে না। শান্তির লক্ষ্যে সদাচরণ করতে হবে এবং আদালত, প্রবেশন অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলব মতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হতে হবে। মাদক সেবন করা যাবে না। মাদক কারবারিদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে না। এতে আরো কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
মুক্তির পর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমি খুব খুশি। খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে ভুল পথে গিয়েছিলাম, এখন থেকে আদালতের নির্দেশনা পালন করে ভালো পথে চলতে চাই।’’
যেন ভালো পথে চলতে পারেন এ জন্য সাদ্দাম সবার কাছে দোয়া চান।
ঢাকা/নূর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিলুপ্ত ঘোষণার ৩ দিন পর খুলনা মহানগর মহিলা দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল খুলনা মহানগরের ১২ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলীকে আহ্বায়ক এবং হালিমা আক্তার খানমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন মোসাম্মাৎ আনজিরা খাতুন, শাহানা সরোয়ার, নাসরিন শ্রাবণী, হাসনা হেনা, নিঘাত সীমা, কাওসারী জাহান মঞ্জু, মিসেস মনি বেগম, জাহানারা পারভীন, মোসাম্মাৎ সালমা বেগম ও শাম্মী চৌধুরী মলি।
আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে ৩ মে খুলনা মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, মহিলা দলের এক নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২ মে বিকেলে নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা আরিফা আশরাফিকে (চুমকি) মারধর করেন প্রতিপক্ষের নারী কর্মীরা। চুমকির অভিযোগ, হামলাকারী ব্যক্তিরা নগর মহিলা দলের সভানেত্রী আজিজা খানমের (এলিজা) অনুসারী। এই ঘটনায় তিনি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। তবে আজিজা খানম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা মহানগর মহিলা দলের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ৪ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে খুলনা মহানগর মহিলা দলের তিনজন নেত্রীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে মহানগর বিএনপি।