নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে তুরষ্কের অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) নোবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল। অন্যদিকে, অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রেক্টর মুরাত ইউলেক।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “নোবিপ্রবি এবং তুরষ্কের অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ভবিষ্যতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়াকে তরান্বিত করবে। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ ধরনের চুক্তি অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যত বেশি হবে শিক্ষার্থীদের লার্নিং সক্ষমতাও ততটাই বাড়বে। নোবিপ্রবিকে উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমতালে এগিয়ে নিতে ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও আমরা এ ধরনের চুক্তি সম্পাদন করবো। আমি এর সফলতা কামনা করছি।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজওয়ানুর হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক আসাদুন নবী, নোবিপ্রবি ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশান ও কো-অপারেশন সেন্টারের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক মো.

রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বিনিময়, স্টাফ প্রশিক্ষণ ও টেকনিক্যাল কোলাবরেশনের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।

এর আগে, নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল এবং তুরষ্কের অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর মুরাত ইউলেক এর মাঝে গত ১৮ এপ্রিল এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ