অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। রাজধানীর গুলশান থানায় করা জব্বার আলী হাওলাদার হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

গত ২৯ এপ্রিল সিদ্দিকুরকে মারধরের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় সিদ্দিকুরকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। এ সময় কেউ কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন সিদ্দিকুর। ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন লোকজন। জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিকুরকে রমনা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সিদ্দিকুরকে গুলশান থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর জব্বার আলী হাওলাদার হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহজাদপুরে রিকশাচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ জব্বারকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরে জব্বারকে গুলি করে জখম করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য সিদ্দিকুরকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

আরও পড়ুনঅভিনেতা সিদ্দিকের ওপর হামলা, লাঞ্ছিত করে থানায় সোপর্দ২৯ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৭ মে রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এ সময় আদালতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি। আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ