মামার শেষকৃত্য শেষে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে ট্রাকচাপায় নিহত ২
Published: 8th, May 2025 GMT
যশোরের কেশবপুরে মামার শেষকৃত্য শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কে উপজেলার আলতাপোল তালতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কেশবপুর পৌরসভার সাহাপাড়া খ্রিস্টান মিশনারির বাসিন্দা জোহন সিংহ (৫৫) ও সুভাষ সরকার (৬৫)।
এলাকাবাসী ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে জোহন সিংহের মামা মারা যান। মামার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সুভাষ সরকারসহ তিনি অংশ নেন। শেষকৃত্য শেষে ওই রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথে কেশবপুরের আলতাপোল তালতলা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলসহ তারা সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিসের লিডার ইউসুফ আলী বলেন, রাতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মৃত অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র সড়ক দ র ঘটন ন হত দ ই ক শবপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’