স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের পরও উভয়ে সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনা বলিউডে নতুন কিছু নয়। আমির খান-কিরণ রাও থেকে আরবাজ খান-মালাইকা অরোরার মত তারকা এই একই পথ বেছে নিয়েছেন। একসঙ্গে সংসার না করলেও মা-বাবা হিসাবে সন্তানদের সব দায়িত্বই তারা পালন করেন। 

প্রায় এক বছর হল বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্রর বড় মেয়ে এশা দেওলের। একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালের জুন মাসে হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী।

২০১৭ সালে জন্ম হয় বড় মেয়ে রাধ্যার। তারপর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু শোনা যায়, ভরতের পরকীয়ার জন্যই সম্পর্কে চিড় ধরে তাদের। তবে বিচ্ছেদ হলেও দুই সন্তানের দায়িত্বই সমান ভাবে পালন করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ‘সিঙ্গল মাদার’ উক্তি করে এশাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি নিজেকে ‘সিঙ্গল মাদার’ হিসাবে মনেই করেন না।

অভিনেত্রী বলেন, ‘নিজেকে সিঙ্গল মাদার হিসাবে মনে করি না। আর আমার সঙ্গীকেও সেটা মনে করতে দিই না। যদিও আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেছে। কিন্তু মা-বাবা হিসাবে আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্য কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’

শোনা যাচ্ছে, ‘গদর ২’-এর সাকসেস পার্টি থেকেই তাদের যত সমস্যার সূত্রপাত। প্রথমে নিজেদের বিচ্ছেদের কথা এড়িয়ে গেলেও পরে নিজে মুখেই সংসার ভাঙার কথা স্বীকার করেন অভিনেত্রী।

বিচ্ছেদের খবর সিলমোহর দিয়ে দিল্লি টাইমস্‌কে এশা ও ভরত বলেন, ‘‘আমার যৌথসম্মতিতে আলাদা হয়েছি। আমাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ আমাদের দুই সন্তান। এই সময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় থাকবে এটাই আশা করব।’ সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

টিউলিপসহ ৩ জনকে দুদকে তলব

কোনো টাকা পরিশোধ না করে ঢাকার গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ফ্ল্যাট দখল করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে আগামী ১৪ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা  হয়েছে।

বুধবার ঢাকায় তাদের বাসার ঠিকানায় চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের ঢাকার ধানমন্ডি ও গুলশানের বাসায় চিঠি পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো. আকতারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

চিঠিতে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যারা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যরান্ত্র, অসদাচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে রেজিস্ট্রি মূলে ফ্ল্যাটটি দখল করেছেন।  

ঢাকার গুলশান-২-এর ৭১ নম্বর রোডের ৫-এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে- ১১এ, ১১বি (নতুন) প্লটের বি/২০১ নম্বর ফ্ল্যাটটি দখলে নেওয়া হয় ২০০১ সালের ১৯ মে মাসে যখন মায়ের বড় বোন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। একইদিনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও যে দুইজনকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন রাজউকের সাবেক সহকারি আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান ও সরদার মোশারফ হোসেন। 

এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। বর্তমানে মামলটির তদন্ত চলছে। এই পর্যায়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে। 

দুদক জানায়, অবৈধভাবে ফ্ল্যাটটি নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের এক পত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। বেআইনিভাবে প্রভাবিত করা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিং থেকে রাজউকে পাঠানো ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকায় রাজউকের এ সংক্রান্ত নোট শিটের ৫ নম্বর ক্রমিকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের নাম রয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার ২০০১ সালের ১৯ মে থেকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের দখলে ওই ফ্ল্যাটটি রয়েছে মর্মে ঢাকা সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। তিনি ২০০১ সালের ১৯ মে ফ্ল্যাটটির হস্তান্তরপত্র গ্রহণ করে ওই তারিখ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ