ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, মহেশপুর সীমান্তে ৩৫ বাংলাদেশি আটক
Published: 9th, May 2025 GMT
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নারী শিশুসহ ৩৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। আটকদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ১৪ জন শিশু। এছাড়া ৩৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে
বৃহস্পতিবার (৮ মে) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরা হলেন- কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা মোড়াগাছা গ্রামের সবুজ হোসেন (৩৩), নড়াইলের সীতারাম গ্রামের আজিবর মল্লিক (৬৫), একই জেলার বাবুপুর গ্রামের মিরাজুল শেখ (২৫), কুমড়ী গ্রামের মোস্তফা (৪৮), বিষ্ণুপুর গ্রামের লিকচান শেখ (২৮), যাদবপুর গ্রামের শাহীন ফকির (৪৮), পাচুরিয়া গ্রামের খাজা মোল্লা (৩৫), যাদবপুর গ্রামের সম্রাট শেখ (৩০), মাধবপাশা গ্রামের তরিকুল শেখ (৩৬) ও মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের কিতাবুল হোসেন (১৯)।
এছাড়া মাদকসহ মেহেরাব উদ্দীন (২৭) নামে মহেশপুরের যাদবপুর গ্রামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানিয়েছে, মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন যাদবপুর, উথুলী, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্রীনাথপুর বিওপির পৃথক অভিযানে এদেরকে আটক করে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আটক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’