বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে ইজিবাইকের চাকায় প্রাণ হারাল শিশু
Published: 9th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহে বাড়ির সামনে দোকানে বিস্কুট কিনতে এসে ইজিবাইকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাইমা খাতুন নামে ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সাইমা খাতুন সদর উপজেলার নলডাঙা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে শিশু সাইমা বাড়ির সামনে দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। বাড়ি থেকে রাস্তায় উঠার পর কালীগঞ্জ থেকে নলডাঙ্গাগামী একটি ইজিবাইক শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় রাস্তায় ছিটকে পড়লে ইজিবাইকটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশু সাইমা আড়মুখী দাখিল মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায় বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করেনি। মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনরা নিয়ে গেছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবাসীর লাশ হাসপাতালে ফেলে গেলেন স্ত্রী, পরিবারের অভিযোগ হত্যা
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিম খান নামে এক ইতালি প্রবাসীর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত হালিম রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের নগর গোয়ালদি গ্রামের মৃত হাজী বালা উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ভাড়াটিয়ার ধাক্কায় বাড়িওয়ালার মৃত্যু, আটক ৩
ঝিনাইদহে ভ্যানচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ ও নিহতের পারিবার জানায়, চার বছর আগে রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের উত্তর দারাদিয়া গ্রামের সোমেদ চৌকিদারের মেয়ে রেশমা বেগমকে বিয়ে করেন হালিম। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এরপর হালিম ইতালি চলে যান। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা সোমেদ চৌকিদারকে ৬০ লাখ টাকা দেন। ইতালি থেকে আসার আগে হালিম নিজের জন্য মোটরসাইকেল কিনতে টাকা পাঠান। সেই মোটরসাইকেল রেশমা বেগমের ভাই সবুজ চৌকিদারের নামে কেনা হয়।
দেশে ফিরে পাওনা টাকা ও মোটরসাইকেল ফেরত চান হালিম। এ নিয়ে হালিমের সঙ্গে রেশমা বেগম ও শ্যালকসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) রাতে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে তারা হালিমকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
তাদের দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য হালিমকে নিয়ে যান দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক হালিমকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ ফেলে পালিয়ে যান রেশমা বেগম ও শ্বশুর বাড়ির সবাই।
নিহত হালিম খানের মেয়ে হিমু আক্তার বলেন, “আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার মাথার পিছনে ও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”
নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, “হালিমের ৯ বছরের কামাইয়ের সব টাকা ওই নারীর কাছে ছিল। অনেক শখ করে সে একটা মোটরসাইকেল কিনেছিল, সেটিও তার শ্যালক নিয়ে গেছে। এসব কিছু নিয়ে রাতে হালিমের সাথে ঝামেলা হইছিল। সকালে পুলিশ খবর দিল, আমার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হইছে। তার মাথা ও সারা শরীরে আঘাতের দাগ আছে। এভাবে পিটিয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাই।”
রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, “লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। জানতে পেরেছি, স্ত্রী ও শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক হালিমকে মৃত্য ঘোষণা করেন। তারা লাশ রেখেই পালিয়ে যান। ঘটনাটি সন্দেহজনক। আইনগত ব্যবস্থা নিতে মরদেহটি ময়নাতদন্তে জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের
মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ