আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা অফিশিয়ালি ঘোষণা দেওয়ার আগে কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। ঢাকাবাসী আপনারা রাজপথে নেমে আসুন। 

আজ শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে একটি মিনি ট্রাকে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে তিনি এ ঘোষণা দেন। 

এ সময় জুলাই ঐকের মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধের মুলা ঝুলিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করতে হবে। 

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অফিশিয়ালি আমাদের মতামত না জানাচ্ছি, কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। আমরা আলোচনায় বসব। অফিশিয়াল ঘোষণা আসা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। 

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, জুলাই ঘোষণা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। 

এ সময় আরও কথা বলেন- এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক রিফাত রশীদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ইসহাক। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ