‘বন্দরে গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে আতংক বিরাজ’ সংবাদ প্রকাশে তোলপাড়
Published: 11th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন বন্দরের ২৭ নং ওর্য়াডের ফুলহর গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ফ্যাস্টিট সরকারের দোসর নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পরিকল্পনায় পশুর হাট বসানো কে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এক আনোয়ারের কুটচালে পরে বিএনপির একাধিক গ্রুপের উত্তেজনা ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন জামাল উদ্দিন গ্রুপের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই। আনোয়ার হোসেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে তার সকল কাজে সহযোগিতা করতেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন একাধিক হত্যা মামলার আসামি অহিদুজ্জামান অহিদ।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পর পালিয়ে যান অহিদুজ্জামান অহিদ। আর অহিদুজ্জামান অহিদ এর ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতো ফুলহর এলাকার পাইছার ছেলে মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান পালিয়ে গেলেও এলাকায় রয়ে গেছেন মোমেন।
বর্তমানেও তিনি অহিদুজ্জামানের সকল ব্যবসা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে। অহিদুজ্জামানের হাত থেকে যুবদলের রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ছিলেন মোমেন মিয়া। আবার অহিদুজ্জামানের পরামর্শে বর্তমানে সে আওয়ামীলীগ ছেড়ে বিএনপি খাতায় নাম লিখে নব্য বিএনপি নেতা বনে গেছে।
বিএনপি সেজে অহিদুজ্জামান অহিদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে মোমেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আনোয়ার হোসেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুলহর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আনোয়ার হোসেনের জমিটি মানিক নামের একজনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। মাসে ৪০ হাজার টাকা ভাড়ায় ১০ বছরের জন্য মানিক মিয়াকে জমিটি ভাড়া দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন।
বর্তমানে মানিক মিয়া উক্ত স্থানে চাপাতলী পিকআপ স্ট্যান্ড নামে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড পরিচালনা করছেন। একজনের কাছে জমি ভাড়া দেওয়া অবস্থায় উক্ত স্থানে মোমেনকে কোরবানি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মানিক মিয়া জানিয়েছেন জমিটি আমি আনোয়ার হোসেন থেকে ভাড়া নিয়েছি। আমার কাছ থেকে মাসিক হিসেবে ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু এখানে হাট বসানোর ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যদি উনি এই জায়গায় হাট বসানোর অনুমতি দিয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়। এখানে এতো গুলো ট্রাক থাকে বললেই তো আর সরিয়ে ফেলা যাবেনা।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন জানান, গরুর হাট করার কথা মোমেনসহ কয়েকজন বলার পর অনুমতি দিয়েছি। এলাকার ছেলেরা যদি হাট করে কিছু টাকা পায় সেদিক বিবেচনা করে। জায়গায় হাট করার অনুমতি দিয়ে যে যন্ত্রণা পোহাতে হবে তা চিন্তাও করিনি।
স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে অহিদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন ও ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে এমন প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন মৃদু হেসে বলেন, হাটের জায়গার বিষয়টি নতুনভাবে চিন্তা করে বন্ধ করে দিতে পারি।
মোমেন বিএনপি করে শুনেছি, তাদের মধ্যেই গ্রুপের শেষ নেই। আবার যদি অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে সেখানেও যন্ত্রণা। শনিবার বিএনপির নেতা হিরণ ফোন করেছে, বাদল, শাহিন ফোন দিয়েছিল। এম জামাল উদ্দিন হাটের জন্য জায়গার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যা, জায়গার বিষয়টি অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে।
একজনের কাছে ভাড়া দেওয়া জমি কিভাবে হাট বসানোর জন্য তিনি অনুমতি দিতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই ট্রাক স্ট্যান্ডের জমির পূর্ব পাশের জায়গায় হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছি।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলছেন জামাল উদ্দিন গ্রুপের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের জমি আমরা চাইনা কোন হাট বসুক। আর আনোয়ার অনুমতি দেওয়ার কে? মৌখিক ভাবে কাকে অনুমতির কোন ভিত্তি নেই। বিষয়টি আমি দেখতেছি।
এদিকে আনোয়ার হোসেনের জমিতে হাট বসানোর জন্য অনুমতি চাওয়া আরেক বিএনপি নেতা শাহিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বলে হাটের জন্য আবেদন করেছি দুই একদিনের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাবো।
এদিকে মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, এই হাটের বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার কথা আমরা শুনছি। বিগত দিনে আমরা ফ্যাসিস্টের জুলুম নির্যাতনের জন্য বাড়িতে পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনি।
এখন দলের সুসময়ে এসব নব্য বিএনপি পয়সা হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের প্রেত্মাতাদের সাথে আঁতাত করে পশুর হাটের ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। এসবের জন্য আমরা দলে ত্যাগ শিকার করেনি।
কিন্তু এসব বিষয় আমরা কোথায় গিয়ে বলবো আমাদের উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ সাহেব নিজেও দলের বদনাম করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ পত্রপত্রিকায় ফেসবুকে প্রকাশিত হচ্ছে। বন্দর উপজেলা এলাকায় বিএনপি এখন টাকা কামানোর মেশিন বানিয়ে ফেলছে এরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট ব এনপ র র জন য ক জ কর এল ক য় ব ষয়ট আওয় ম এমন প
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল