জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কারের দাবি বা আলোচনার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই, প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যে সমর্থন রয়েছে এনসিপির। তবে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচার এবং মৌলিক সংস্কার কার্যক্রম শেষ করতে হবে। রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন গণপরিষদ। সত্যিকারের মৌলিক পরিবর্তন চাইলে গণপরিষদ নির্বাচন করতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের মতো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি না হলে অন্যান্য বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে গণতান্ত্রিক ধারা সচল হবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এক ব্যক্তির ইচ্ছামাফিক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরও সংবিধান সংশোধনের মৌলিক বিষয়ে একমত হতে পারছি না, এটি দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর পরেও ৭২ এর সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। নতুন সংবিধান তৈরি করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না।

নাহিদ বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে শুধু সংবিধান নয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্কারও করতে হবে এবং সংবিধানের মূলনীতি দলীয় মূলনীতির বাইরে বের করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়ন গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয়: আলী রীয়াজ 

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এখন বিজয়ের লক্ষ্য পূরণে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রসর হতে হবে বলেও জানান তিনি।  

সোমবার (১২ মে) সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আলোচনার শুরুতে  এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে এ দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম করেছেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে জনগণ এ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত থেকেছেন।”

কমিশনের লক্ষ্য ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোসহ নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখা। এই ঐক্যকে সুদৃঢ় করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা।” 

সুযোগ বার বার আসেনা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটা ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি৷ তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।” 

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক এবং সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আলোচনায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল এম. এল এর সভাপতি কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি কমরেড আলি হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল- পিডিপি'র মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান এবং সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাক্তার সামছুল আলম-সহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন৷

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্র–চীন আলোচনায় বড় অগ্রগতি, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে ঐকমত্য
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়ন গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয়: আলী রীয়াজ 
  • রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধা মতো সংস্কার চায়
  • নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে: নাহিদ
  • সংবিধান পুনর্লিখনের পক্ষে নয় গণফোরাম
  • আঞ্চলিক দলগুলোর নিবন্ধনে শর্ত শিথিল চায় ইউপিডিএফ
  • জাতীয় সনদ নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবে: আলী রীয়াজ 
  • ইউপিডিএফের লক্ষ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলা: মাইকেল চাকমা
  • জাতীয় সনদ নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করবে: আলী রীয়াজ