কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়কে শ্রমিক বিক্ষোভ
Published: 11th, May 2025 GMT
অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। রোববার সকালে মহানগরের কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা মার্ক সোয়েটার লিমিটেডের কর্মী।
শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে তারা বকেয়া বেতন, মজুরি বৃদ্ধিসহ কিছু দাবি নিয়ে কারখানার ভেতর আন্দোলন করছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি না মানার অংশ হিসেবে শনিবার রাতেই প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দেন।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, চলমান বেআইনি ধর্মঘট ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১১ মে থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। নিরাপত্তা প্রহরী ও প্রশাসনিক কর্মীরা এ সিদ্ধান্তের আওতামুক্ত থাকবেন। পরিবেশ অনুকূলে এলে ফের নোটিশ দিয়ে কারখানা খোলার তারিখ জানানো হবে।
বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, রোববার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে প্রধান ফটকে ওই নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় তারা দলবেঁধে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের সুরাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে শিল্পপুলিশ, থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানাটির পরিচালক (প্রশাসন) নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, শনিবার তুচ্ছ ঘটনায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। তারা এক কর্মকর্তার পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবি তোলেন। এসব নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হামজাকে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশি হওয়ার স্বপ্ন জাগে
শুক্রবার ছুটির দিনে জাতীয় স্টেডিয়ামে বসল যেন প্রবাসীদের মিলনমেলা! কেউ এসেছেন ইংল্যান্ড থেকে, কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে, কেউ আবার সুইডেন থেকে
আগামীকাল থেকে তিন দিন এই ভেন্যুতে হবে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়াল। তার আগে পরিবার–পরিজন নিয়ে সবাই হাসি–আনন্দে কাটিয়েছেন আজকের বিকেলটা। মূলত আনুষ্ঠানিক ট্রায়ালের আগে আজ বাফুফের ওরিয়েন্টশন সেশনে যোগ দিতে আসেন এসব প্রবাসী ফুটবলার।
তাঁদেরই একজন তোফায়েল তানিম। বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের ক্লাব সাউথএন্ড ম্যানর এফসিতে। ২৩ বছর বয়সী এই সেন্টার ব্যাকের স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা।
তাঁর এই স্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল হামজা চৌধুরীকে দেখেই, ‘যেদিন দেখলাম হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন, সেদিনই বাবাকে বলে দিই আমিও খেলতে চাই। তাঁকে দেখেই তো এখানে এসেছি।’
তানিমের মতো সুইডেনপ্রবাসী আশিক রহমানও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। সুইডেনের ফুটবল একাডেমি অরেঞ্জ এফকেতে খেলা এই লেফট উইঙ্গার বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমি একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশকে আমি খুব ভালোবাসি। দেশের হয়ে খেলতে চাই।’
ট্রায়াল দিতে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের বাবা–মায়েরাও খুব রোমাঞ্চিত। ইংল্যান্ডের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড থেকে এসেছেন আশরাফ আবু। তাঁর খুব ইচ্ছা ছেলে মুসা আল-ঘানি একদিন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন।
১৭ বছর বয়সী মুসা বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের ইউএফসিএ লিডস নামের একাডেমিতে। মিডফিল্ডে খেলা এই তরুণের চোখেমুখেও রঙিন স্বপ্ন। বাবা আশরাফ বললেন ছেলেক নিয়ে প্রত্যাশার কথা, ‘আমার ছেলে খুবই রোমঞ্চিত। সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। আসলে হামজা আসার পর ছেলেদের মধ্যে আগ্রহটা বেড়েছে। দেখা যাক কী হয়।’
২৮ থেকে ৩০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫২ জন ফুটবলারের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা কমে হয়েছে ৪৮। আজ বিকেলে ওরিয়েন্টশন ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের সময় ৪৩ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচজন তখনো দেশে ফেরার পথে।
বাফুফের এই ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ডেনমার্কপ্রবাসী সাকিব মাহমুদ। ফুটবলারের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ নিয়ে তিনি বলছেন, ‘সম্প্রতি দুজন ফুটবলার চোটে পড়েছেন। আর মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট সংকটের জন্য একজনের আসার সূচি বদলেছে।’ অন্য একজন বুধবার না আসার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।