ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চালু হয়েছে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি। গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আজ সোমবার চালু হয়েছে চারটি গাড়ি। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এ সেবা চালু থাকবে।
গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহাবুব তালুকদার বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আরও ১৪টি গাড়ির ব্যবস্থা করা। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি এবং প্রক্টরিয়াল টিমের জন্য একটি ও গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের মেম্বারদের জন্য একটি গাড়ি রয়েছে।’
মাহাবুব তালুকদার বলেন, ক্যাম্পাস শাটলে যাত্রার ভাড়া হবে সর্বোচ্চ ২০ ও সর্বনিম্ন ১০ টাকা। এ ভাড়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারবেন। প্রতিটি গাড়িতে গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একজন করে স্বেচ্ছাসেবক (ঢাবি শিক্ষার্থী) থাকবেন এবং ভাড়া সংগ্রহ করবেন। কুয়েত মৈত্রী হল ও তৎসংলগ্ন হলের শিক্ষার্থীরা এ সেবার আওতায় থাকবেন।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে চারটি রুটে ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়িগুলো চলবে। প্রতিটি শাটলে ১৪ জন করে বসতে পারবেন। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গত নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল বাসসেবা চালু হয়। তিনটি নন–এসি মিনিবাস সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চক্রাকারে ক্যাম্পাসে তিনটি রুটে চলাচল করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’