হায়দরাবাদের তাজ কৃষ্ণা হোটেলের লবিতে গিজগিজে ভিড়। সেই ভিড়ে হঠাৎই একটা হুড়োহুড়ি। কারণ, ভারতীয় দলের বাস এসে হোটেলের সামনে থেমেছে। ক্রিকেটাররা একে একে ঢুকছেন আর ছুটে যাচ্ছেন সেলফি–শিকারিরা। সবচেয়ে বড় ভিড়টা কাকে ঘিরে, তা অনুমান করতে পারার জন্য কোনো পুরস্কার নেই। অবশ্যই বিরাট কোহলি।

আরও পড়ুনকোহলি টেস্টে কী করে গেলেন, কী রেখে গেলেন৭ ঘণ্টা আগে

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলছে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে ঘণ্টাখানেক আগে। কোহলি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন, ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরি। তাঁকে ঘিরে মৌমাছির মতো ভিড় আর সেলফি তোলা নিয়ে মা–মেয়ের মধ্যে রীতিমতো ঝগড়া লেগে যাওয়ার কারণ অবশ্যই ওই ডাবল সেঞ্চুরি নয়। কোহলি শূন্য রানে আউট হলেও অমনই হতো। ভারতীয় ক্রিকেটাররা সবাই তারকা হতে পারেন, কিন্তু বিরাট কোহলি তখন তারকাকুলে বৃহস্পতি।

সাদা পোশাকে আর দেখা যাবে না কোহলিকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯ জন শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের বহনকারী মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত একটি উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার উড়োজাহাজটিতে করে ৪৯ জন শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী ওয়াশিংটনে অবতরণ করেন।

যেখানে অন্য শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে অথবা প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানার শরণার্থীদের সাদরে গ্রহণ করার নীতি নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভূমি নিয়ে বিরোধ, অপরাধ ও বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়াশিংটনে আসা শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে বিমানবন্দরে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় শরণার্থীদের অনেকের কোলে শিশু ছিল। তাঁদের হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানানো হয়। ওই আদেশে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানাররা অন্যায্য জাতিগত বৈষম্যের শিকার।

আরও পড়ুনঅন্য অভিবাসীদের আটকে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান ট্রাম্প২৫ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব নাগরিকের আদিপুরুষ ইউরোপ, বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস থেকে এসে দেশটিতে বসতি স্থাপন করছেন, তাঁদেরকেই আফ্রিকানার বলা হয়। দেশটিতে বাণিজ্যিকভাবে কৃষি উৎপাদনের অনেকটাই আফ্রিকানারদের নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুনদক্ষিণ আফ্রিকার নিপীড়িত শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ