সিডনির রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী শাবনূর। গত শনিবার সকালে সিডনির ল্যাকেম্বার একটি রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। শাবনূরের বোন ঝুমুর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ওইদিন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন শাবনূর। অসাবধানতাবশত রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর পা মচকে গেছে। পায়ে প্লাস্টার করিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খাচ্ছেন। চিকিৎসক তাকে দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
শাবনূর জানান, ল্যাকেম্বায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আর বাসায় ফেরেননি। পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। পরদিন ছেলে আইজান নেহানকে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান।
সংবাদমাধ্যমকে শাবনূর বলেন, ‘মোবাইলে কথা বলতে বলতে ল্যাকেম্বার রাস্তায় হাঁটছিলাম। একপর্যায়ে ফুটপাত থেকে পড়ে গিয়ে পা মচকে যায়। পরে জানতে পারি, টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ক্রাচ নিয়ে হাঁটাচলা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
অভিনেত্রী শাবনুর দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পরিবার নিয়ে বাস করছেন। মাঝে মধ্যে দেশে আসেন। বেশ বিরতির পর গত বছরের এপ্রিলে অভিনয় করেন ‘রঙ্গনা’ সিনেমায়। তবে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় সিনেমাটির কাজ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ বন র চলচ চ ত র শ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
ভৈরবে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে মামলা, আসামি যুবলীগ নেতা পলাতক
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী পূর্বকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসুদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
মামলায় একমাত্র আসামি আজিম রানা। তিনি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মানিকদী পূর্বকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে। স্কুলটির সঙ্গে লাগোয়া একটি বাড়ির বাসিন্দা এলাছ উদ্দিনের ছেলে আজিম রানা। আজিম ব্যক্তিগত প্রয়োজনে প্রায়ই স্কুলের সম্পদ ব্যবহার করতে চান। নিষেধ করলে শিক্ষকদের মারধর করতে যান। গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর কাউকে কিছু না বলে স্কুলের পানির পাম্প ব্যবহার করে নিজ পুকুরে পানি দেন আজিম। টানা দুই দিন বিরতিহীন পাম্প চলার একপর্যায়ে সেটি বিকল হয়ে যায়। গতকাল রোববার স্কুল খোলার পর আজিমের বাড়িতে গিয়ে পাম্পটি মেরামত করে দেওয়ার অনুরোধ করেন মাসুদ। তখন আজিম বাড়িতে ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজিম স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে সবার সামনে মারধর শুরু করেন।
এ কে এম মাসুদ বলেন, ‘আমি ৯ বছর ধরে স্কুলটিতে আছি। আজিমের ভয়ে সবাইকে তটস্থ থাকতে হয়। যখন যা খুশি, তাই করার চেষ্টা করেন। তাঁকে থামানোর কেউ নেই। আমাদের কারও সঙ্গে কথা না বলে পুকুরে পানি দেওয়ার কাজে স্কুলের পাম্প ব্যবহার করেন। আমি কেবল তাঁর পরিবারের কাছে বিকল পাম্পটি মেরামত করে দেওয়ার অনুরোধ করে এসেছিলাম।’
এ বিষয়ে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ছোট নয়। স্কুল চলাকালে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন ওই ব্যক্তি।
মামলার পরপর এলাকা ছেড়েছেন আজিম। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।