ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও একে অপরকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে দুই দেশ। যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মঙ্গলবার পাকিস্তান বলেছে, ভবিষ্যতে নয়াদিল্লি আবার ‘আগ্রাসন’ চালালে পাল্টা জবাব দিতে পিছপা হবে না ইসলামাবাদ। অন্যদিকে পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ চালানো হলে দেশটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছে ভারত।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও পাকিস্তান। টানা চার দিন পাল্টাপাল্টি হামলার পর ১০ মে বিকেলে যুদ্ধবিরতিতে একমত হয় দুই দেশ। পেহেলগামের ওই হামলায় ইসলামাবাদের মদদ ছিল বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।

যুদ্ধবিরতি চললেও দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি থেমে নেই। সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ‘সন্ত্রাসবাদের’ সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদদ বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে আবার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এ সময় পারমাণবিক অস্ত্রের তোয়াক্কাও করা হবে না।

এরপর মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোদির দেওয়া ‘উসকানিমূলক ও উত্তেজনাকর’ বক্তব্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইসলামাবাদ। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টার মধ্যে এমন বক্তব্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির যে সমঝোতা হয়েছে, পাকিস্তান সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং উত্তেজনা কমাতে দরকারি পদক্ষেপ নেবে ইসলামাবাদ। তবে ভবিষ্যতে যদি ভারত কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো জনসমক্ষে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ চালানো হলে আপনারা ধ্বংস হয়ে যাবেন।’

ভারতের ওপর আবার হামলা হলে দেশটি কী জবাব দেবে, সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক কোনো দেশের সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে আমরা কোনো পার্থক্য করব না। আমরা তাদের ডেরায় প্রবেশ করব এবং এমনভাবে আঘাত হানব, যেন তারা বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ না পায়।’

ট্রাম্পের ‘হুমকি’র কথা অস্বীকার নয়াদিল্লির

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতায় বড় ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার বিকেলে যুদ্ধবিরতির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম সামনে এনেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। পরে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে তিনি বলেন, তাঁর কারণেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ’ বন্ধ হয়েছে।

সংঘাত থামাতে দুই দেশকে বাণিজ্য নিয়ে চাপ দিয়েছিলেন—এমন দাবিও করেছেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমরা তোমাদের সঙ্গে (ভারত ও পাকিস্তান) অনেক বাণিজ্য করতে চাই। তাই এটি (সংঘাত) বন্ধ করো। বন্ধ করলে আমরা বাণিজ্য করব। আর যদি বন্ধ না করো, তাহলে আমরা কোনো বাণিজ্য করব না।’

তবে ট্রাম্পের এমন কোনো হুমকির কথা নাকচ করেছে নয়াদিল্লি। সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ৯ মে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। এ ছাড়া ৮ ও ১০ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে আলাপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে এ সময় বাণিজ্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।

মঙ্গলবার সৌদি আরবে সৌদি–মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দিয়েও ভারত–পাকিস্তান প্রসঙ্গে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কো রুবিওকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (ভারত ও পাকিস্তান) প্রকৃতপক্ষেই কাছাকাছি আসছে। হয়তো আমরা তাঁদের আরও কিছুটা কাছাকাছি আনতে পারব, রুবিও।’

দুই পক্ষের হতাহত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘাতে কতজন নিহত হয়েছেন, মঙ্গলবার তার একটি হিসাব দিয়েছে ইসলামাবাদ। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতে হামলায় পাকিস্তানের মোট ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৯৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১১ জন সেনাসদস্য রয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৭৮ জন। নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ৪০। তাঁদের মধ্যে ৭ নারী ও ১৫ শিশু রয়েছে।

পাকিস্তানে নিহত এই ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের আগ্রাসন পাকিস্তানের জনগণের শক্তি আরও বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আরও একতাবদ্ধ হয়েছে। ভারতের শত্রুতার জবাব দেওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কারা৪ ঘণ্টা আগে

পেহেলগাম হামলার জেরে ৬ মে রাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। এর পর থেকে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ১০ মে ভোরে ভারতে চালানো পাকিস্তানের অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’। এই চার দিনে নিজেদের কতজন নিহত হয়েছেন, তার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত। ১০ মে দেশটির সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের হামলায় তাদের ৫ সেনাসদস্য ও ১৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন–এর খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আগের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আশা করি যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুনভারত না পাকিস্তান, লড়াইয়ে জিতল কে১২ মে ২০২৫আরও পড়ুন‘উদ্বেগজনক’ গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন জেডি ভ্যান্স১১ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম ব দ নয় দ ল ল ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলার নিন্দা ব্রিকসের, কাদের ওপর অতিরিক্ত ১০% শুল্ক বসানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা ‘ভবিষ্যৎ না ভেবে দেওয়া’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা আমদানি শুল্ক আরোপ এবং সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন। গতকাল রোববার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই সমালোচনার জবাবে হুমকি দিয়ে লিখেছেন, ‘যেকোনো দেশ, যারা ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ নীতির কোনো ব্যতিক্রম হবে না।’

ব্রিকসের ১১টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। এই সংস্থা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে।

এই জোট অনেক বিষয়ে বিভক্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কনীতি ও আচরণের বিষয়ে তারা একমত। অবশ্য সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।

সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে ব্রিকস নেতারা বলেন, ‘একতরফাভাবে বৃদ্ধি করা শুল্ক নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। কারণ, এই শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারে।’

ইরানের পাশে ব্রিকস

ব্রিকস সম্মেলনে ইরানের প্রতি প্রতীকী সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। এই দুই দেশ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নিশানায় এসব হামলা চালায়।

চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প তাঁর মিত্র ও প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে একের পর এক শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তবে বাজারে ভয়াবহ দরপতনের মুখে পড়ে কিছু সময়ের জন্য তা স্থগিত করেন।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আগামী ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি না হলে তিনি একতরফা শুল্ক আরোপ করবেন। তবে সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যেমন ব্রাজিল, ভারত ও সৌদি আরবের প্রতি সম্মান রেখে যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্পের নাম কোনো জায়গায় সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।

সম্মেলনের প্রেক্ষাপট ও অনুপস্থিতির বিষয়

প্রায় ২০ বছর আগে গঠিত ব্রিকস এখন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে চীনের নেতৃত্বাধীন একটি শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তবে সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ইরান, সৌদি আরবসহ নতুন নতুন দেশ যুক্ত হওয়ায় গাজা যুদ্ধ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য নিয়ে জোটের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়েছে।

যেমন ব্রিকস সম্মিলিতভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে শান্তিপূর্ণ দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেয়। অথচ ইরান বহুদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলের ধ্বংস হওয়া উচিত।

একজন ইরানি কূটনীতিক বলেন, তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ‘কিছু আপত্তি’ ব্রাজিলের আয়োজকদের জানিয়েছে। তবুও ইরান পুরো বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেনি।

ব্রাজিল সরকারের একটি সূত্র জানায়, এই স্পর্শকাতর অবস্থান থেকে বোঝা যায়, কেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালের আলোচনায় অংশই নেননি।

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপ্রযুক্তির অস্ত্রের সবচেয়ে বড় গ্রাহকদের একজন এবং বহুদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা অনুপস্থিত

চলতি বছরের সম্মেলনের রাজনৈতিক গুরুত্ব কিছুটা কমে গেছে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়েরঅনুপস্থিতির কারণে। তিনি ১২ বছরের মধ্যে এবার প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত হননি।

এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি সম্মেলনে আসেননি। তিনি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে অংশ নেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

সম্মেলনে পুতিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ব্রিকস এখন বৈশ্বিক নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ এক শক্তি হয়ে উঠেছে।

এআই নিয়ে উদ্বেগ

সম্মেলনে নেতারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রযুক্তি শুধু ধনী দেশগুলোর একচেটিয়া অধিকার হতে পারে না।

বর্তমানে এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টরা এগিয়ে থাকলেও চীন ও অন্যান্য দেশও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ