চলতি বোরো মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় সরকারি খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের খাদ্য গুদামে ফিতা কেটে সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫৪১ মেট্রিক টন ধান এবং ৪৯ টাকা কেজি দরে ৭ হাজার ৭০৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে সরকার।

খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার এ উদ্বোধনী কর্মসূচির মাধ্যমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলো। অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিষয়টি সবাইকে জানানোর অনুরোধ রইলো। যেন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান সরাসরি গুদামে দিয়ে অর্থ বুঝে নিতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-  মো.

আফজাল হোসেন, বিকাশ চন্দ্র প্রামাণিক, খন্দকার শামসুল আরেফিন, প্রবীণ কীর্তনীয়া, বিপ্লব কুমার সাহা প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ