ভারতের পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। 

পাঞ্জাবের অমৃতসরের পাঁচটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। 

গতকাল পুলিশ জানিয়েছে, ভেজাল মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া আরও ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের শারীরিক অবস্থা জটিল। 
অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনার সাক্ষী সহানি জানিয়েছেন, ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জেলা পুলিশ সুপার মানিন্দর সিং ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এনডিটিভি।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, পালানোর সময় এপিবিএন সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬

বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় এপিবিএনের একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এপিবিএনের কনস্টেবল (গাড়িচালক) আল হাদী (২৭), সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তারেক রহমান (২৫) ও শাহরিয়ার রহমান (২৬) এবং কলেজশিক্ষার্থী আবিদ হাসান (২৬), সাদিক আকবর (২৬) ও মো. আবদুল্লাহ (১৮)। তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়ার সোনাতলা থানায় মামলা করা হয়েছে।

সদর থানা সূত্রে জানা যায়, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের বিরোধ আছে। গ্রেপ্তার ছয়জন গতকাল রাতে এপিবিএনের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে কাতলাহার গ্রামে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে অনলাইন জুয়া খেলার অভিযোগে শফিকুরের ছেলে ওয়ালিদকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় শফিকুর রহমান ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। পরে শফিকুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানালে গাবতলী ও সদর থানা–পুলিশ পিকআপটি আটকে অভিযানে নামে। পরে রাত দেড়টার দিকে শহরতলির সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় গতিরোধ করে এপিবিএনের পিকআপসহ ছয়জনকে আটক করে সদর থানা–পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর পরিবারের সঙ্গে কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের বিরোধ ছিল। তাঁর ছেলেকে আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে পালানোর সময় সদর থানা–পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মামলা হয়েছে।

এপিবিএনের বগুড়ার অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, কনস্টেবল আল হাদী এপিবিএনের গাড়িচালক। তাঁর বাড়ি সোনাতলা উপজেলায়। অনুমতি ছাড়াই তিনি এপিবিএনের সরকারি গাড়ি নিয়ে সোনাতলা উপজেলায় গিয়েছিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়িটি এপিবিএনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত আল হাদীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যার মামলায় আরও ৬ জন গ্রেপ্তার
  • সৌদি রিয়াল ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬ জন
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের জেল
  • বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, পালানোর সময় এপিবিএন সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬
  • সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
  • সাবেক এমপি সাইফুল, সাবেক ডিআইজি নুরুলসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা