ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার মাঝেও চলছিল দুই দেশের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় ৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়, যার পরপরই স্থগিত হয়ে যায় পুরো আইপিএল। পাকিস্তানেও ড্রোন হামলার কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় পিএসএল নিয়ে।

তবে দুই দেশের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর আবার মাঠে ফিরছে ক্রিকেট। আইপিএলের স্থগিত হওয়া ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্ন। বিশেষ করে পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচটি কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে ছিল জল্পনা।

বিসিসিআই জানিয়েছে, ২৪ মে নতুন সূচি অনুযায়ী ম্যাচটি আবার মাঠে গড়াবে। তবে আগের ম্যাচের ১০.

১ ওভার পর্যন্ত হওয়া খেলা বিবেচনায় নেওয়া হবে না। ম্যাচটি শুরু হবে নতুন করে, অর্থাৎ টস থেকে।

৮ মে ধর্মশালায় খেলা শুরু হয়েছিল কিছুটা দেরিতে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ১০.১ ওভারে ১ উইকেটে তোলে ১২২ রান। এরপর হঠাৎ করে ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলা থেমে যায়। পরে নিরাপত্তা শঙ্কায় স্টেডিয়াম খালি করার নির্দেশ দেয় আইপিএল কর্তৃপক্ষ। খেলা আর শুরু না হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনে প্রস্তুত বিসিসিআই, তবে উদ্বেগ রয়ে গেছে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে। আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে অনেকেই আইপিএলের পুনরায় শুরুতে ফিরতে পারবেন না। ১১ মে থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, ২৯ মে থেকে ইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ, আর জুনের শুরুতেই ইংল্যান্ড সফরে যাবেন প্যাট কামিন্সরা।

ধর্মশালার ঘটনার পরদিনই বিসিসিআই এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনে করে ক্রিকেটারদের দিল্লিতে আনা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ মে থেকে আবার শুরু হবে আইপিএলের এবারের আসর।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ