পুলিশের জন্য ‘ডেডিকেটেড সার্ভিস ডেস্ক’ চালু করল কমিউনিটি ব্যাংক
Published: 14th, May 2025 GMT
পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশেষায়িত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সারা দেশব্যাপী সব শাখা ও উপশাখায় একযোগে ‘ডেডিকেটেড সার্ভিস ডেস্ক’ চালু করেছে। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় এক অনুষ্ঠানে এই সার্ভিস ডেস্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালক আহমাদ মুঈদ। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। এখন থেকে দেশের যেকোনো শাখায় পুলিশ সদস্যরা জানতে পারবেন, তাদের জন্য নির্ধারিত ডেস্ক ও কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা দ্রুত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা দেবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) কিমিয়া সাদাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরাই এই ব্যাংকের ভিত্তি। তাদের জন্য সম্মানজনক, দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আজ থেকে প্রতিটি শাখা ও উপশাখায় থাকবে একটি ডেডিকেটেড ডেস্ক, যেখানে পুলিশ সদস্যরা বিশেষ সেবা পাবেন। যদি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সেবা দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে তা সেন্ট্রাল সার্ভারে রেকর্ড করে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ফলোআপ করা হবে।
ডেডিকেটেড সার্ভিস ডেস্কের আওতায় থাকছে-
১.
২. নগদ লেনদেনে অগ্রাধিকার ও নির্ধারিত কর্মকর্তার সেবা।
৩. অসম্পন্ন সেবা বা অভিযোগ কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে রেকর্ড করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা।
৪. সরাসরি ফোন কলের মাধ্যমে সেবার অগ্রগতি জানানো।
৫. পুলিশের জন্য প্রযোজ্য সব ব্যাংকিং পণ্য ও সেবার তথ্য এবং পরামর্শ উচ্চ লেনদেন করে এমন শাখাগুলোতে কল সেন্টারের সহায়তায় সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং অপেক্ষাকৃত কম লেনদেনের শাখায় কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে ফোন করে পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাবেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক প্রমাণ করেছে—এটি শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশ পুলিশের নির্ভরতার অংশীদার এবং সেবার অংশীদার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’