পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশেষায়িত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সারা দেশব্যাপী সব শাখা ও উপশাখায় একযোগে ‘ডেডিকেটেড সার্ভিস ডেস্ক’ চালু করেছে। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় এক অনুষ্ঠানে এই সার্ভিস ডেস্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালক আহমাদ মুঈদ। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। এখন থেকে দেশের যেকোনো শাখায় পুলিশ সদস্যরা জানতে পারবেন, তাদের জন্য নির্ধারিত ডেস্ক ও কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা দ্রুত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা দেবেন। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে)  কিমিয়া সাদাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরাই এই ব্যাংকের ভিত্তি। তাদের জন্য সম্মানজনক, দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আজ থেকে প্রতিটি শাখা ও উপশাখায় থাকবে একটি ডেডিকেটেড ডেস্ক, যেখানে পুলিশ সদস্যরা বিশেষ সেবা পাবেন। যদি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সেবা দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে তা সেন্ট্রাল সার্ভারে রেকর্ড করে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ফলোআপ করা হবে।

ডেডিকেটেড সার্ভিস ডেস্কের আওতায় থাকছে-

১.

অ্যাকাউন্ট, ঋণ, আমানত ও কার্ড সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ সহায়তা।

২. নগদ লেনদেনে অগ্রাধিকার ও নির্ধারিত কর্মকর্তার সেবা।

৩. অসম্পন্ন সেবা বা অভিযোগ কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে রেকর্ড করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা।

৪. সরাসরি ফোন কলের মাধ্যমে সেবার অগ্রগতি জানানো।

৫. পুলিশের জন্য প্রযোজ্য সব ব্যাংকিং পণ্য ও সেবার তথ্য এবং পরামর্শ উচ্চ লেনদেন করে এমন শাখাগুলোতে কল সেন্টারের সহায়তায় সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং অপেক্ষাকৃত কম লেনদেনের শাখায় কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে ফোন করে পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাবেন।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক প্রমাণ করেছে—এটি শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশ পুলিশের নির্ভরতার অংশীদার এবং সেবার অংশীদার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল শ সদস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন-২০২৫’। গত শনিবার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনারকক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের (চলচ্চিত্র সংসদ বা ফিল্ম ক্লাব) সংগঠনগুলো এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

সম্মেলনে সারা দেশের ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হয় আরও ৫টি সংগঠন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের প্রেসিডেন্ট জন পাওলো অনলাইনে যুক্ত হন।

আলোচনায় ফেডারেশনের আহ্বায়ক ও প্রবীণ চলচ্চিত্র সংসদকর্মী অধ্যাপক আবদুস সেলিম বলেন, ‘চলচ্চিত্র সংসদগুলো দেশের চলচ্চিত্র রুচিকে উন্নত করতে এবং একটি সুস্থ চলচ্চিত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

ফেডারেশনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল মারুফ ফেডারেশনকে গতিশীল ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে জহিরুল ইসলামকে সভাপতি, মোহাম্মদ নূরউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের ১৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া জহিরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে প্রান্তিক কণ্ঠস্বর শোনা হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মোহাম্মদ নূরউল্লাহ বলেন, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য দেশের চলচ্চিত্র সংসদগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র করা এবং তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ