বগুড়ায় উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে শহরের খোক পার্ক ও সাতমাথার টেম্পল রোডে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ’র ব্যানারে এ হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি উদীচী নেতাদের।

উদীচীর নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের বগুড়া শাখা বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালন করতে যান। সেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে একদল যুবক মিছিল নিয়ে এসে হামলা-ভাঙচুর করেন।
এতে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি শাওন পাল, সাব্বির আহমেদ রাজ, সাদ্দাম হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয় ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল আফরিক প্রান্তসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

কর্মসূচি পালন না করে শহীদ মিনার থেকে নেতাকর্মীরা সাতমাথায় উদীচী কার্যালয়ে এলে সেখানে আরেক দফা হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উদীচী কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

সংগঠনের বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বিপ্লব জানান, দু’দফা হামলায় তাদের অনেকে আহত হয়েছেন। মাইক, টেবিল ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের সংগঠক রাব্বি হায়দার বলেন, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। উদীচী সাতমাথায় কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল। আগে থেকে সেখানে আমাদের কর্মসূচি থাকায় তাদের শুধু নিষেধ করেছি।

সদর থানার ওসি এম এম মঈনউদ্দিন জানান, সাতমাথা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। আহতদের সম্পর্কে জানা যায়নি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ