কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
Published: 15th, May 2025 GMT
৯ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবির আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন শামীম হোসেন, তাঁর বন্ধু নাজমুল ও জিলকদ। রায় ঘোষণার পর তাঁদের তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকেই এক লাখ করে টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ হোসেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে লেখাপড়া করতেন। তাঁর সঙ্গে প্রধান আসামি শামীমের পূর্বপরিচয় ছিল। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে যাত্রাবাড়ী থেকে তুলে নিয়ে একটি বাসায় ধর্ষণ করেন শামীম ও তাঁর দুই বন্ধু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আসামিদের মধ্যে জিলকদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় স্বামীকে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা
ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (৩০ জুন) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে আরো ৫-৬ জনকে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ও যুবদল নেতা আলাউদ্দিন। তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আরো পড়ুন:
আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, অর্থদণ্ড স্থগিত
তজুমুদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল ও সজিব ঘটনার পরোক্ষ মদদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগে ঝর্ণা বেগম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দুই বিয়ে করেছেন। গত শনিবার রাতে তাকে ডেকে পাঠান তার ছোট স্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে আটকে চাঁদা দাবি করেন ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতারা। তাদের সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে তার বড় স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলে নির্যাতনকারীরা।
গত রবিবার সকালে বড় স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে তার কাছে স্বামীর মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সামনেই ওই ব্যক্তিকে আরেক দফা পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। দুপুর ১টার দিকে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে ফরিদ ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে তার বড় স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তাদের বাবা ও ভাই ডেকে এবং হাত-পা ধরেও রক্ষা পাননি ভুক্তভোগী নারী।
পরে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে বাড়ি পাঠিয়ে দেন অভিযুক্তরা। রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারে নিয়ে সবাইকে ঘটনাটি জানান। পরে ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুরো ঘটনা জানালে রাতে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নেয়। সেখানে মামলা হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু বলেন, “অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তজুমদ্দিন থানার ওসি মহব্বত খান বলেন, “ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ