সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রুবেল আনুশের নির্মাণে ও মাহতাব হোসেনের গল্প চিত্রনাট্যে নাটক ‘সেলস গার্ল’ নাটকটি শপিং কমপ্লেক্সের একটি দোকানের নারী বিক্রয়কর্মীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। যাদের নাগরিক জীবনে ‘সেলস গার্ল’ বলা হয়। এই নারী বিক্রয়কর্মী ও তার জীবনের অভিলাষ তাকে ভুল পথে চালিত করে। যে ভুলের মাশুলে তাকে নির্মম পরিণতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যদিও এটার জন্য সে দায়ী নয়, তবে ঘটনা এমনটাই ঘটে।

নাটকটির গল্প ও নির্মাণ সামাজিক মাধ্যমে তুমুল প্রশংসা পাচ্ছে। ক্লাব এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এই নাটকের মন্তব্য বাক্সে গল্প ও নির্মাণ নিয়ে প্রচুর ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। নাটকে অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দীপ, অনিন্দিতা মিম, বাপ্পীসহ অনেকেই।

এ বিষয়ে নির্মাতা রুবেল আনুশ বলেন, খুব সুন্দর একটি প্লটে আমাদের চিত্রনাট্য এগিয়েছে। আমি অনুভব করেছি এই নাগরিক জীবনের একজন সেলস গার্লের জীবনযাপন তুলে আনতে, যেন নিখুঁত হয়। এরপর গল্পের খাতিরে আমাকে নানাদিকে বাঁক নিতে হয়েছে। আমি মনে করি, এই নাটক দর্শকদের ভালো লাগবে, লাগছে এবং ধীরে ধীরে এ নাটকের ভিউ কল্পনাতীত হবে। 

রচয়িতা মাহতাব হোসেন বলেন, আমার একটি গল্পগ্রন্থে প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল ‘সেলস গার্ল’। একটা সময় মনে হলো এটাকে চিত্রনাট্যে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। রুবেল আনুশ সে গল্পকে সুন্দরভাবে পর্দায় নিয়ে এলেন। মানুষজন পছন্দ করছে, বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করছে।

মাহতাব হোসেনের চিত্রনাট্য ও রুবেল আনুশের নির্মাণে গত ঈদে মুক্তি পায় তোমার মায়ায় নামের আরো একটি নাটক। যেখানে মুশফিক আর ফারহান ও আইশা খান অভিনয় করেছেন। এটার স্ট্রিম হয়েছে ৬০ লাখের মতো।  

রুবেল আনুশের গত ঈদে বেশ কয়েকটি নাটক মুক্তি পায়। এসবের মধ্যে কানামাছি নাটকটি তুমুল প্রশংসিত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ন দ ত ম ম স লস গ র ল চ ত রন ট য

এছাড়াও পড়ুন:

ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ে বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ও কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বাংলাদেশকে গড়বার।’

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম-বিচারবর্হিভূত হত্যা শিকার যারা হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মান এবং তাদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।’

বিকেল তিনটায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের সম্মানে এ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী করে বিএনপি চেয়ারপারসনের আগে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের পর্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ