‘চাঁদার’ টাকা না পেয়ে গরু নিয়ে গেলেন বিএনপি নেতা
Published: 15th, May 2025 GMT
ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘চাঁদার’ টাকা না পেয়ে নার্গিস বেগম নামে এক গৃহবধূর গরু নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. বেলাল খান। তিনি শুক্তাগড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বেল্লাল খানের ভাষ্য, চাঁদার টাকার জন্য নয়, নার্গিসের স্বামীর কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকার জন্য তিনি গরুটি নিয়ে গেছেন। টাকা দিয়ে দিলে তিনি গরুটি ফেরত দেবেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নার্গিস বেগম শুক্তাগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী। আবু বক্কর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে।
ভুক্তভোগী নারগিস বেগম বলেন, ‘তার স্বামী আবু বকর দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। গার্মেন্টসে চাকরি করে জমানো টাকা দিয়ে একটি গাভি কেনেন। এক মাস আগে গাভিটি একটি বাছুর জন্ম দেয়। গতকাল বুধবার সকালে বিএনপি নেতা বেলাল খান স্বামীর ২০ হাজার টাকার পুরনো ঋণ পাবে দাবি করে গাভিটি নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাভি কিনেছিলাম দুধ বিক্রি করে সংসার চালাব বলে। এখন সেই গাভিটি নিয়ে গেছে। বাছুরটি দুধ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
নার্গিস বেগমের অভিযোগ, ‘স্বামী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বেল্লাল ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না পেয়ে গাভিটি নিয়ে গেছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আমার স্বামীর মোটরসাইকেলটি নিয়েও যান বেল্লাল। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মো.
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘লিখিত কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) শাহ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এ ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ ব এনপ ২০ হ জ র ট ক গ স ব গম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’