বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান ও গুণী নির্মাতা রাজকুমার হিরানি। ২০০৯ সালে হিরানি পরিচালিত ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় অভিনয় করেন আমির। সিনেমাটি মুক্তির পর ইতিহাস রচনা করে। পাঁচ বছর বিরতি নিয়ে এ জুটি নিয়ে আসেন ‘পিকে’। এ সিনেমা মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া নতুন করে বলার কিছু নেই।
তারপর দীর্ঘ ১১ বছর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি আমির খান ও রাজকুমার হিরানিকে। বিরতি ভেঙে ফের একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন এই দুই গুণী। দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিকে দেখা যাবে তাদের। খবর এনডিটিভির।
বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দাদাসাহেব ফালকের জীবন ও তার চলচ্চিত্রে অবদানের কাহিনি সিনেমাটিতে তুলে আনা হবে। ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের পটভূমিতে নির্মিত হবে, যেখানে দেখানো হবে কীভাবে শূন্য থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সিনেমাশিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
অসম প্রেমের গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন কঙ্কনা
কয়েক লাখ টাকার ‘টিয়া’ নিয়ে কানের লাল গালিচায় উর্বশী
দীর্ঘ চার বছর বায়োপিকটির চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেন রাজকুমার হিরানি। তার সঙ্গে রয়েছেন আরো তিনজন। তারা হলেন— হিরানির দীর্ঘ দিনের সহযোগী অভিজাত যোশী, লেখক হিন্দুকুশ ভারতবংশী ও অবিষ্কার ভারতবংশী। সিনেমাটির সময়কালের যথাযথ চিত্রায়ণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের ভিএফএক্স স্টুডিওগুলো কাজ করবে।
দীর্ঘ বিরতির পর ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ফিরছেন আমির খান। আগামী ২০ জুন সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এরপর থেকে বায়োপিকের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন আমির। আগামী অক্টোবর থেকে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।