আলোচনার প্রথম ধাপেই যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন
Published: 16th, May 2025 GMT
ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার প্রথম ধাপেই দুই দেশ বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এছাড়া দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন প্রতিনিধিরা। শুক্রবার বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তুরস্কে শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই শান্তি আলোচনায় অংশ নেন, তাহলে তিনি বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বৈঠকের প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। শুক্রবারের বৈঠকে প্রতিনিধি দলে আছেন ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যান্ড্রি ইয়েরমাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রি সাইবিহা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্টেম উমিরভ।
রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমিরভ ইউক্রেনীয় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়া এক হাজার জন যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।
উমিরভ বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং (বন্দি) বিনিময়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছি। ফলাফল হল এক হাজার জনের বিনিময়ে এক হাজার জন বিনিময়। এটাই আমাদের বৈঠকের ফলাফল।”
তিনি জানান, ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র প র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’