ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখার পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী সরকারি প্রাথমিক স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এ পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাজী মুহাম্মাদ জাকির হোসাইন বিপ্লব এর সভাপতিত্বে ও একই কমিটির সেক্রেটারি কাজী মুহাম্মাদ হাসানের সঞ্চলনায় পরিচিতি ও শপথ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর থানা পূর্ব সভাপতি হাজী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মাষ্টার,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বন্দর থানা পূর্ব সহ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বন্দর থানা পূর্ব সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মাসুদ রানা ও হদর, দ্বীন কায়েম সংগঠন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আলহাজ্ব মুহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন।

পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মোঃ মোবারক হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাজী আলেক বিপ্লব,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম, প্রচার ও দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইমরান হোসেন, অর্থ প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন, প্রশিক্ষন সম্পাদক মাওলানা সালাহউদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল নূর, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল মিয়া, মহিলা ও পরিবার বিষয়ক সম্পাদক হাজী খলিলুর রহমান, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম হৃদয়,সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাফুজুর ইসলাম,শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, সদস্য হাজী শাহাবুদ্দিন, হাজী জাকির হোসেন, মোঃ বশির আহাম্মেদ।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় ন ইসল ম অন ষ ঠ পর চ ত ও শপথ

এছাড়াও পড়ুন:

টানা তিন মাস কমল দেশের পণ্য রপ্তানি

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎসের একটি পণ্য রপ্তানি স্বস্তিতে নেই। টানা তিন মাস ধরে দেশের পণ্য রপ্তানি কমেছে। গত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৮২ কোটি ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তারপরের দুই মাস, অর্থাৎ আগস্টে ২ দশমিক ৯৩ এবং সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। তাতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবরে) সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অথচ বিদায়ী অর্থবছর পণ্য রপ্তানি বেড়েছিল সাড়ে ৮ শতাংশ।

পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান আজ সোমবার প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ১ হাজার ৬১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত অক্টোবরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। মূলত তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৮ শতাংশ কমে যাওয়ায় সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে।

দেশের মোট রপ্তানি ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক। টানা তিন মাস ধরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমলেও অর্থবছরের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। গত জুলাইয়ে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ২৪ শতাংশ। পরের মাসে রপ্তানি কমে পৌনে ৫ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে কমেছিল প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। গত মাসে, অর্থাৎ অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৩০২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ২৮১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি খাত বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত ইতিবাচক ধারায় আছে এই খাতের রপ্তানি। গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪১ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।

পণ্য রপ্তানিতে তৃতীয় শীর্ষ খাত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ৩৮ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পৌনে ২ শতাংশ কম। শুধু গত মাসে ১০ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৯ শতাংশ।

এদিকে চতুর্থ শীর্ষ রপ্তানি খাত হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি গত মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। যদিও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছিল দশমিক ৫৪ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ২৮ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৯ শতাংশ বেশি।

দেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি এখনো ইতিবাচক ধারায় আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ২৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। শুধু গত মাসে ৮ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ