টি সিরিজে ইশতিয়াক আহমেদের গান, গাইলেন তানজিব
Published: 16th, May 2025 GMT
কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদের লেখা ‘কারণে অকারণে’ গানটি মানুষের মুখে মুখে ফেরে। গানটি গেয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী মিনার। গানটির গীতিকার এবার জানালেন নতুন খবর। উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্লাটফর্ম টি সিরিজের সাথে যুক্ত হলেন তিনি। সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রসেনজিৎ ডাব্বু ঘোষাল যিনি ডাব্বু নামে সমাধিক পরিচিত, তার সুর ও সঙ্গীতে গান প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাদের প্লাটফর্ম টি সিরিজ বাংলাতে।
‘ভালোবাসা অকারণ’ শিরোনামে প্রথম গানটি গেয়েছেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তানজিব সারোয়ার।
গানটি প্রসঙ্গে সঙ্গীত পরিচালক ডাব্বু বলেন, কারণে অকারণে শিরোনামের একটি গান শুনে আমি ২০১৭ তে ইশতিয়াক আহমেদ সম্পর্কে জানি। এবং এরপর থেকে তার সাথে কাজ করার ইচ্ছে ছিলো। এবার টিসিরিজ বাংলার সাথে কাজ শুরু করতে গেলে তারাও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। ফলে গানের কাজ শুরু করি। আমাদের এই গানটিও যথেষ্ট ভালো হয়েছে। শ্রোতারা ভালোভাবে নেবে।
গানটির রেকর্ডিং হয়েছে ঢাকায় মিউজিক ফ্যাক্টরি স্টুডিওতে। আর মিক্স মাস্টার হয়েছে মুম্বাইতে। গানটি এ মাসেই অবমুক্ত করা হবে টি সিরিজ বাংলা চ্যানেলে। এর ধারাবাহিকতায় ইশতিয়াক আহমেদের লিরিকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের আরও গান এই প্লাটফর্মে আসবে বলে টি সিরিজ থেকে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন গ ন ইশত য় ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
যৌতুকের টাকা না পেয়ে সন্তানকে বিক্রি
যৌতুকের টাকা না পেয়ে নবজাতক সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ওই নারীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী গ্রামে।
অভিযুক্ত স্বামী জয়শ্রী গ্রামের হাতেম আলী সরদারের ছেলে মনজুর আলম সরদার (৪৪)। ভুক্তভোগী নারীর নাম রোজিনা বেগম (৩০)।
রোজিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই মনজুর আলম তাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে বাবার বাড়ি থেকে কয়েক দফায় মোটা অঙ্কের যৌতুক আদায় করেন। সর্বশেষ বাবার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য চাপ দেন।
তিনি আরও জানান, তিন মাস পূর্বে তাদের ছেলে হয়। কিন্তু স্বামী তাকে জানায়, ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে এবং অসুস্থ হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা গেছে। লাশ দেখতে চাইলে তার স্বামী বলেন, লাশ আনা হয়নি।
রোজিনা বেগম জানান, গত ৩০ জুন বিকেলে তিনি জানতে পারেন মনজুর আলম নবজাতক ছেলেকে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মনজুর আলম তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
প্রতিবেশীদের কাছে রোজিনার স্বজনরা খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মনজুর আলম সরদার বলেন, ‘‘আমি মারধর করিনি। উল্টো সে আমাকে মারধর করেছে।’’
নবজাতক বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই সময় আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির কাগজে আমি স্বাক্ষর করিনি, তাই এ বিষয়ে আমি দায়ী নই। নবজাতক সন্তানের কি হয়েছে আমি জানি না।’’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/পলাশ