Samakal:
2025-11-03@20:10:17 GMT

আয়ানের ইচ্ছেপূরণ

Published: 16th, May 2025 GMT

আয়ানের ইচ্ছেপূরণ

প্রথম শ্রেণিতে পড়ে আয়ান। ছবি আঁকায় তার প্রচণ্ড আগ্রহ, রং-তুলিতে সে নিজের ছোট্ট স্বপ্নের জগৎ গড়ে তোলে। প্রতিদিনের মতো আজও সে স্কুলে গেলো। শ্রেণি শিক্ষক জানালেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে। হাতে একটা কাগজ দিয়ে বললেন, বাসায় নিয়ে বাবা-মাকে দেখাবে।
খুশিতে আয়ানের মন ভরে গেলো। তবে বাড়ি ফিরে মা আর বাবার অফিস আর নানা ব্যস্ততার ভিড়ে সে কথা বলতে পারলো না। এভাবে তিন দিন পার হয়ে গেলো। তৃতীয় দিন ক্লাসে বন্ধু রিহান বললো, আজই শেষ দিন, ফরম না নিলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবি কীভাবে? তাই আয়ান শিক্ষকের ফোন থেকে তার মাকে ফোন দিয়ে বিষয়টা বুঝিয়ে বললো। 
মা বলেন, কে নিয়ে যাবে? আমরা তো দু’জনই ব্যস্ত। পড়াশোনায় মন দাও, এগুলো পরে হবে। ছোট্ট আয়ানের মনটা ভেঙে গেলো। বাড়ি ফিরে বিকেলে সে গেলো বাড়ির পাশের নতুন মাঠে। সেদিক দিয়ে ফিরছিলেন ওর মা। দূর থেকে দেখলেন, আয়ান মাটিতে একটা গর্ত খুঁড়ছে। মা কাছে গিয়ে বলেন– আয়ান, 
কী করছো? আমি তো তোমাকে বলেছিলাম ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে, মাটিতে না।
আয়ান মাথা নিচু করে আস্তে বলে– মা, আমি আমার ইচ্ছেগুলোকে মাটিচাপা দিয়ে রাখছি। সময় পেলে পরে বের করবো। 
মা নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে রইলেন। 
ছোট্ট ছেলের মুখে এমন কথা শুনে তিনি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। হঠাৎই বুঝতে পারলেন, ছেলেটার ইচ্ছেগুলো কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ধীরে ধীরে আয়ানের কাঁধে হাত রেখে বললেন, এখনও সময় আছে, বাবা। চলো, আমরা একসাথে তোমার ফরমটা পূরণ করে ফেলি।
আয়ানের মুখে হাসি ফুটে উঠলো! এবার সে তার ইচ্ছের পথে, স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে! 
n দ্বাদশ শ্রেণি, ড.

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ