Samakal:
2025-09-18@12:41:01 GMT

আয়ানের ইচ্ছেপূরণ

Published: 16th, May 2025 GMT

আয়ানের ইচ্ছেপূরণ

প্রথম শ্রেণিতে পড়ে আয়ান। ছবি আঁকায় তার প্রচণ্ড আগ্রহ, রং-তুলিতে সে নিজের ছোট্ট স্বপ্নের জগৎ গড়ে তোলে। প্রতিদিনের মতো আজও সে স্কুলে গেলো। শ্রেণি শিক্ষক জানালেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে। হাতে একটা কাগজ দিয়ে বললেন, বাসায় নিয়ে বাবা-মাকে দেখাবে।
খুশিতে আয়ানের মন ভরে গেলো। তবে বাড়ি ফিরে মা আর বাবার অফিস আর নানা ব্যস্ততার ভিড়ে সে কথা বলতে পারলো না। এভাবে তিন দিন পার হয়ে গেলো। তৃতীয় দিন ক্লাসে বন্ধু রিহান বললো, আজই শেষ দিন, ফরম না নিলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবি কীভাবে? তাই আয়ান শিক্ষকের ফোন থেকে তার মাকে ফোন দিয়ে বিষয়টা বুঝিয়ে বললো। 
মা বলেন, কে নিয়ে যাবে? আমরা তো দু’জনই ব্যস্ত। পড়াশোনায় মন দাও, এগুলো পরে হবে। ছোট্ট আয়ানের মনটা ভেঙে গেলো। বাড়ি ফিরে বিকেলে সে গেলো বাড়ির পাশের নতুন মাঠে। সেদিক দিয়ে ফিরছিলেন ওর মা। দূর থেকে দেখলেন, আয়ান মাটিতে একটা গর্ত খুঁড়ছে। মা কাছে গিয়ে বলেন– আয়ান, 
কী করছো? আমি তো তোমাকে বলেছিলাম ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে, মাটিতে না।
আয়ান মাথা নিচু করে আস্তে বলে– মা, আমি আমার ইচ্ছেগুলোকে মাটিচাপা দিয়ে রাখছি। সময় পেলে পরে বের করবো। 
মা নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে রইলেন। 
ছোট্ট ছেলের মুখে এমন কথা শুনে তিনি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। হঠাৎই বুঝতে পারলেন, ছেলেটার ইচ্ছেগুলো কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ধীরে ধীরে আয়ানের কাঁধে হাত রেখে বললেন, এখনও সময় আছে, বাবা। চলো, আমরা একসাথে তোমার ফরমটা পূরণ করে ফেলি।
আয়ানের মুখে হাসি ফুটে উঠলো! এবার সে তার ইচ্ছের পথে, স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে! 
n দ্বাদশ শ্রেণি, ড.

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা

নরসিংদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির একদল কর্মী তাঁর ওপর হামলা করলেও তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম আইয়ুব খান সরকার। তিনি বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে তাঁর মাথা ফেটে গিয়ে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।

আজ ভোর পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ইদন মিয়া (৬০) নামের একজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। হতাহত ব্যক্তিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে সকাল থেকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন আইয়ুব খান সরকার।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আলোকবালীর সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের খবর নিতে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করছিলেন হতাহত ব্যক্তিদের স্বজন, স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকেরা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির একদল কর্মী যমুনা টিভির সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা জানতে চান, যমুনা টিভির সংবাদে ঘটনাটিকে কেন ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ লেখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ঘটনাটি ঘটেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। দ্রুত সেটি সংশোধনের দাবি করেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, এ সময় সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকার তাঁদের বলেন, স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন সোর্স ও পুলিশের বক্তব্য নিয়ে তিনি প্রতিবেদনটি করেছেন। এখানে কোনো ভুল নেই। এ কথা বলার পরপরই তাঁরা উত্তেজিত হয়ে আইয়ুব খান সরকারের গায়ে হাত তোলেন। এ সময় তাঁদের উপর্যুপরি কিলঘুষিতে মাথা ফেটে যায় তাঁর। একপর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সহায়তায় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তার (আরএমও) কক্ষে আশ্রয় নেন তিনি।

হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যমুনা টিভির সংবাদে কেন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলা হয়েছে, তা নিয়েই প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। আইয়ুব খান সরকার বারবারই এটা তো তাঁর লেখার কিছু নয়, ওসি ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন বলছিলেন। এরপরই ‘লিখলি কেন’, ‘এখনই ঠিক কর’ বলে হামলা করা হয়। তাঁকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারা হয়। ঠেকাতে গিয়ে তিনিও (আশিকুর) কিলঘুষি খেয়েছেন।

সদর হাসপাতালের আরএমও ফরিদা গুলশানারা কবীর বলেন, হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই লেগেছে। মাথায় আঘাত করার কারণে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ