সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাড়ির পাশে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইদুর রহমান (৬৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। হত্যাকারী বেল্লাল হোসেন ও তার ছেলে আনিছুর রহমান নিহতের প্রতিবেশী। ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন বেল্লাল ও তার ছেলের বাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় বেল্লাল, আনিছুরসহ ওই পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌ-পাকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাইদুর রহমান ও তাঁর প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা একটাই। এই রাস্তার অধিকার নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে সাইদুর রহমান জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরলে ওই রাস্তা নিয়ে বেল্লাল ও তার ছেলে আনিছুরের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে এসে বাবা ও ছেলে মিলে সাইদুর রহমানকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন বেল্লাল ও আনিছুরের বাড়ি পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় ওই পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’