প্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 17th, May 2025 GMT
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ছুটির পরিমাণ কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের ১ নম্বর টার্গেট (লক্ষ্য) হচ্ছে, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের সময়টা, সেটা বাড়ানো।’ সেটি করতে গিয়ে শিক্ষকের অপ্রতুলতার মতো বিষয়টিও তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষকদের সংখ্যা কোথাও বেশি আছে, কোথাও কম আছে। সেটিকে সামঞ্জস্য করার একটি বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে শূন্য পদগুলো পূরণ করার মতো বিষয়।
আরও পড়ুনমদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ৩ ঘণ্টা আগেবিধান রঞ্জন বলেন, ‘আমাদের (শিক্ষকদের) ওপর লেভেলে (উচ্চ পর্যায়ে) কিছু শূন্য পদ রয়ে গেছে, সেগুলোও পূরণ করতে হবে। এটি পদোন্নতি ও নিয়োগ—উভয় মাধ্যমেই করা হবে।
এর পাশাপাশি শিখন ঘণ্টা বাড়ানো যায় কি না, সেটিও বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা ছুটিগুলো কিছু কমিয়ে দিতে পারি। কারণ, আমাদের ছুটির দিন অনেক বেশি। ফলে বছরে ক্লাস হয় অল্প দিন।’
এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্যোগগুলো সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুযোগ-সুবিধা১৫ জানুয়ারি ২০২৫অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, পরিচালক কামরুল হাসান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’