ভেনামি চিংড়ি চাষে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা, বাড়ছে পোনার চাহিদা ও উৎপাদন
Published: 18th, May 2025 GMT
১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। হাতে নিলে পুরো তালুতে এঁটে যায়। এমন একটি চিংড়ির দাম অন্তত ১০ হাজার টাকা। সাধারণ কোনো চিংড়ি নয় এটি। বলা হচ্ছে মা ‘ভেনামি’ চিংড়ির কথা। এ ধরনের একটি মা চিংড়ি থেকেই বছরে ১০ লাখ পর্যন্ত রেণু (পোস্ট লার্ভা) উৎপাদন সম্ভব। চিংড়ির এই প্রজাতি আমাদের দেশের নয়, বিদেশ থেকে মা চিংড়ি আমদানি করে কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ‘ভেনামি’ চিংড়ির পোনা।
সারা বিশ্বে চিংড়ির বাজারের বড় অংশই ভেনামি চিংড়ির দখলে; কিন্তু এই জাতের চিংড়ির আবাদ তেমন হতো না এই দেশে। দেশের প্রচলিত বাগদা ও গলদা চাষে রোগের সংক্রমণ অনেক বেশি। অপর দিকে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির উৎপাদন সাধারণ চিংড়ির চেয়ে বেশি। খামারিরা জানান, ভেনামি চিংড়ি চাষে মৃত্যুঝুঁকি নেই তেমন। পোনা ছাড়ার পর দুই মাসের মাথায় পূর্ণবয়স্ক চিংড়ি বিক্রি করা যায়। বাংলাদেশি চিংড়ি খামারিদের কাছে তাই নতুন বিকল্প ভেনামি। আর সেই বিকল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছে কক্সবাজার। এখানকার দুটি সরকার অনুমোদিত হ্যাচারিতে উৎপন্ন হচ্ছে ভেনামি চিংড়ির পোনা। তা ছড়িয়ে পড়ছে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ সারা দেশের খামারিদের কাছে।
প্লেটে চিংড়ির ছবি) নরম খোলসের ভেনামি চিংড়ি রোগমুক্ত থাকে। উৎপাদনও বেশি। তাই এ ঝাতের চিংড়ি চাষ বাড়ছে দিন দিন। কক্সবাজারের একটি হ্যাচারি থেকে সম্প্রতি তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
ঢাকার আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় কেএম মুনসুর আলী (৪০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশকোনা ফরিদ মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রবিবার সকালের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিমানবন্দর থানার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই ) মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত মনসুর আলী দক্ষিণখান থানা এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। গত রাতে তিনি আশকোনা হাজী ক্যাম্পে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর ১০ নম্বর রেলগেটর সামনে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তখন একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলা বাটিকা খাপারা গ্রামে। পল্লবীর বাইশটেকি এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা