ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘ব্যাপক’ স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। রোববার এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এদিকে মুহুর্মুহু বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় ভোর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেকে শিশু। খবর আল-জাজিরার

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপারেশন গিডিয়ন চ্যারটের অংশ হিসেবে আমাদের দক্ষিণ কমান্ডের স্যান্ডিং এবং রিজার্ভ সেনারা উত্তর দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু করেছে। হামাসের বিরুদ্ধে বড় হামলার অংশ হিসেবে স্থল হামলা শুরু করা হয়েছে। 

বিস্তারিত আসছে.

.. 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ন হত ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় শ্বশুরবাড়িকে গুদাম বানিয়ে ৫০০ বস্তা চাল মজুত ব্যবসায়ীর

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নিমতলী গ্রামে শ্বশুরবাড়িকে আতপ চালের গোপন গুদামে পরিণত করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিচালিত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫০০ বস্তা আতপ চাল জব্দ করা হয়। বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় চাল মজুতকে অবৈধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অভিযান পরিচালনা করেন বদলগাছী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘চাল মজুতের বৈধতা নিশ্চিত করতে অভিযানে যাই। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এগুলো জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে চালগুলো বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবলু নামের এক ব্যবসায়ী তার শ্বশুর জাহিদুল ইসলামের বাড়িকে মজুতঘরে রূপান্তর করে দীর্ঘদিন ধরে আতপ চাল মজুত করে আসছিলেন। বাইরের দৃষ্টিতে এটি একটি সাধারণ বসতবাড়ি হলেও ভেতরে তৈরি করা হয়েছিল একটি গোপন গুদামঘর।

জানা গেছে, শিবলুর মূল ব্যবসা কীটনাশক বিক্রি হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক লাভের আশায় তিনি এই মজুত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। আতপ চালের প্রতিটি বস্তা ছিল উন্নত জাতের, যা স্থানীয় বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি হতো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ৫০০ বস্তা আতপ চাল সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা খাদ্য বিভাগ, বদলগাছী থানা পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন অভিযান আরও জোরদার করা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ