নড়াইলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেল নড়াগাতী থানার যোগানিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল লতিফকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। কয়েকজন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
হামলার ঘটনায় রোববার সন্ধ্যার পর কালিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে বক্তব্য দেন কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক গোলম কিবরিয়া মিঠু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ প্রমুখ।
তাদের অভিযোগ, আব্দুল লতিফ কালিয়া পৌরসভার বেন্দারচর সোয়াবিল এলাকায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ঢাকা থেকে আসছিলেন। পথে যোগানিয়া এলাকায় পৌঁছালে প্রায় দেড়শ জনের একটি দল তাঁর গাড়িবহরে লাঠিসোটা, রড ও দাহ্য পদার্থ দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বহরে থাকা প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বত্তরা। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। জেলা বিএনপির বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক নড়াগাতী থানা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি সুবিধাবাদী অংশ এই হামলা চালিয়েছে। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেছেন তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি। কে বা কারা এই হামলা করেছে জানা নেই। আমার লোকজনের এখানে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, হামলায় ঘটনায় পুলিশে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনাটি জানার পর তদন্ত করা হচ্ছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’