বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন টিভি আয়োজনে খুব কমই গান করেন। তবে যে কোনো উৎসব আয়োজনে তাকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দমেলা’য় থাকছে তাঁর গান। ২৮ মে বিটিভির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে তিনি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিটিভির একটি সূত্র।

জানা গেছে, সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি এবারের আনন্দমেলায় আরও অনেক তারকাশিল্পী হাজির হবেন। থাকছে তারকাশিল্পীদের অংশগ্রহণে নাচ, চমৎকার কিছু স্কিডসহ হরেক আয়োজন। 

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন ইন্তেখাব দিনার ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। প্রথমবারের মতো উপস্থাপনায় জুটি হতে যাচ্ছেন তারা। এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন শাহরিয়ার হাসান, হাসান রিয়াদ ও মামুন মাহমুদ। এটি প্রচার হবে ঈদের দিন রাতে।

আনন্দমেলা প্রসঙ্গে মামুন মাহমুদ সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আনন্দমেলা বর্ণিল হবে। দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা থাকে আনন্দমেলায় বড় মাপের কোনো শিল্পীর উপস্থিতির। এবারের আয়োজনে বড় চমক সাবিনা ইয়াসমিন। চেষ্টা করছি, দর্শকের প্রত্যাশামাফিক অনুষ্ঠান সাজাতে। আশা করছি, তারকাবহুল আনন্দমেলা দর্শকের মন ভরাবে।'

এছাড়া থাকবে ব্যান্ডদল মাইলসের পরিবেশনা। চলচ্চিত্র তারকাদের মধ্যে শাকিব খান, পূজা চেরি ও দিঘী অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর দীর্ঘ সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশে থেকেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কারণ, তাঁর শরীরে ক্যান্সার ফিরে এসেছিল। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে আবার গানে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারির সন্ধ্যায় বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানে গাইছিলেন এ শিল্পী। গাইতে গাইতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। তবে সুস্থ হওয়ার পর ঢাকায় আর কোনো অনুষ্ঠানে গান করেননি তিনি। গত ১৭ মে কানাডার টরন্টোতে অষ্টম বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের কনসার্টে প্রবাসীদের গান শোনান এই নন্দিত শিল্পী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগেই সব ফুটপাত মেরামতের নির্দেশ ডিএনসিসি প্রশাসকের

পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার প্রধান সড়কসমূহের ফুটপাত মেরামতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। 

সোমবার ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

জনগুরুত্বপূর্ণ প্রগতি সরণি, মিরপুর রোড, সাতরাস্তা, এয়ারপোর্ট রোড, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রিং রোড, সাত মসজিদ রোড, মাহবুব মোর্শেদ সরণি, একে খন্দকার সড়ক, মহাখালী হতে গুলশান-১ সড়কসহ অন্যান্যগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ডিএনসিসির প্রশাসক সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।

ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা ফারজানা ববি জানান, প্রশাসকের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সড়কসমূহের মেরামত কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে এবং আসন্ন ঈদের পূর্বে মেরামত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

তিনি জানান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুটপাতসমূহের মেরামতের আগের ছবি ও মেরামতের পরের ছবি ব্যবহার করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ