নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার: তিন পোস্টে কি লিখলেন নওশাবা
Published: 19th, May 2025 GMT
একটি ভিডিওর কারণে বিগত সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। খেটেছেন জেল। হারিয়েছেন কাজ। এমনকি ঠকেছেন শিল্পমাধ্যম থেকেও। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি বলেছিলেন তার মত ঘটনা যেন কোনো শিল্পীর জীবনে না ঘটে। কিন্তু গতকাল থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন নুসরাত ফারিয়াকে।
তাকে গ্রেপ্তারের পর নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিন পোস্ট শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
প্রথম পোস্টে তিনি লিখেছেন, “রাষ্ট্র কি ভুলে যাচ্ছে? আপনারা বাংলাদেশকে কথা দিয়েছিলেন, তার বাক স্বাধীনতা থাকবে, শিল্পী তার শিল্প চর্চা করবে আপন লয়ে। আরও কত কি? গোল্ডফিশ মেমোরি হলে তো হবে না! মনে করানোর ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জানে”
দ্বিতীয় পোস্টে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে নেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছেন নওশাবা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “দমটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার। কেনো? কেনো রাষ্ট্র? কি দোষে একজন শিল্পী আজ এইভাবে? জনগণ জানতে চায়। জানার অধিকার আমাদের আছে! আমরা বারবার কি উদাহরণ সৃষ্টি করছি?”
তৃতীয় পোস্ট হিসেবে অভিনেতা মোস্তাফিজ নূর ইমরানের লেখা শেয়ার করেছেন নওশাবা। সেখানে লেখা, ‘আমরা শিল্পী। আমরা স্বাধীন। আমরা সর্বজনীন। আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা শুধু আমাদের কাজ করি।’
এরপর তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে করে লিখেছেন, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: শিল্প ও শিল্পীর অবমূল্যায়ন, জাতির ধ্বংসের কারণ। শিল্পী যদি সত্যিই অপরাধী প্রমাণিত হয়, অবশ্যই তার সুষ্ঠু বিচার হোক। আত্মপক্ষ সমর্থন থাকুক। কোনও অপরাধের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলেও তার বিচার আইন অনুযায়ী অবশ্যই হোক। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে এমন কোনও ফায়দা যদি নিয়ে থাকেন, যেটার কারণে কারও ক্ষতি হয়েছে, তবে অবশ্যই ন্যায়বিচার হোক। দুর্নীতি থাকলে সেটা প্রমাণ হোক, সেই অনুযায়ী শাস্তিও হোক। কিন্তু মিথ্যা মামলা, আটক, হয়রানি, পাবলিক, মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল, মব ভায়োলেন্স- এসব মানহানি বন্ধ হোক এখনই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ নওশ ব আহম দ নওশ ব
এছাড়াও পড়ুন:
দুই দাবিতে পোশাক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ না করাসহ দুটি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
উপজেলার ভান্নারা এলাকায় গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ এলাকার জালো নিটওয়্যার লিমিটেড নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় ঢুকে ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ না করা ও অংশগ্রহণকারী কমিটি (পিসি) বিলুপ্ত করার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার বাইরে গিয়ে মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় শিল্প-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আঞ্চলিক সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকরা সড়কের পাশের দোকানপাটে অবস্থান নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করলে সেখানে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সরিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ ঈদে যে কয়দিন ছুটি দিবে তা পুষিয়ে নিতে ঈদের আগেই বন্ধের দুই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা (শ্রমিক) বন্ধের দিনগুলোতে কাজ না করার মতামত জানিয়ে কারখানার অংশগ্রহণকারী কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো না মানলে তারা আবারও আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
‘জালো নীটওয়্যার লিমিটেড’ নামক কারখানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ভান্নারা এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কয়েকটি দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।