টেকনাফে কোস্টগার্ডের সঙ্গে গোলাগুলি, পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 19th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন নৌঘাঁট এলাকায় ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের সদস্যদের গোলাগুলি হয়েছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ সময় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নূর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস
ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে সিগারেটের মূল্যস্তর কমানোর দাবি
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, মিয়ানমার থেকে সাগরপথে ইয়াবার চালান আসার খবরে সোমবার (১৯ মে) ভোরে টেকনাফের তুলাতলী নৌঘাঁট এলাকায় অভিযান চালায় শাহপরীর দ্বীপ কোস্টগার্ডের বিশেষ দল। এ সময় ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ডের সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে আব্দুল শক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়ার পর নৌকাটি আটক করা হয়। পাচারকারীদের মধ্যে চার জন সাগরে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।
নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি ৯ মি.
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি উত্তীর্ণ হন।
আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’ তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরমান হোসেনের (২১) এই নিয়োগ যেন দীর্ঘদিনের এক চাপা বেদনার মাঝে আশার দীপ্তি এনে দিয়েছে। পরিবারসহ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে যাওয়া বোন ফেলানী খাতুনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন আরমান হোসেন পূর্ণ করবেন।
এইচএসসি পাস আরফান হোসেন নিয়োগপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলের এই চাকরি তাঁর যোগ্যতায় হয়েছে, সবার দোয়াও ছিল। তাঁর ছেলে চাকরিজীবনে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তাহলে তাঁর মেয়ে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের মরদেহ।