জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি পরিবারের পাকা ধানসহ কৃষিজমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার উপজেলার চরচারিয়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন ও তাঁর ভাইদের সাত একরের বেশি জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নেয় বলে তারা জানিয়েছেন। এতে বাধা দিলে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শরিফ উদ্দিন, নওশী পারভীন, শারমিন, শাহিদা বেগম, মোস্তফা, কাউছার, সাইফুল, হাফিজুর ও সবুজের নাম জানা গেছে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কৃষক জামাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাত একর ২৩ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। গ্রামের প্রভাবশালী বাক্কার আলী ও তার সহযোগীরা একটি মামলার সূত্রে এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন। সোমবার ভোরে শতাধিক লোক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে জমির পাকা ধান কেটে নেন। সেখানে অস্থায়ী টিনের চালা ঘর নির্মাণ করেন তারা। 

জামাল উদ্দিন বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এটি নিষ্পত্তির আগেই প্রতিপক্ষ বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করে ঘর তুলতে গেলে তারা বাধা দেন। তখন তারা হামলা চালালে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

ভুক্তভোগী কৃষকের ভাষ্য, সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও জমিটি দখলমুক্ত হয়নি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে হামলায় অভিযুক্তদের অনেকে গ্রেপ্তার ও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ইসলামপুর থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, জমি দখলচেষ্টা ও সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ