বাসচাপায় শেষ বাবা, পা গেছে মেয়ের, হাত ভেঙেছে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
Published: 19th, May 2025 GMT
রাজশাহীর বাঘায় বাসচাপায় জাহেদুল ইসলাম শান্ত (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুনের (৫) পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাত ভেঙেছে স্ত্রী জেসমিন আক্তারের (২৪)। তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে জাহিদুল মারা যান। তাদের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি জামতলা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জাহেদুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে মেয়ে তুরাইফাকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী জেসমিন। পথে বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুপার সনি পরিবহনের একটি বাসের তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
বাহুবলে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাসের চালক নিহত
আহতদের আত্মীয় আবিদ হাসান বলেন, ‘‘জেসমিন আক্তার সন্তানসম্ভবা। তাকে রামেকের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জাহেদুল ও তার মেয়েকে অপারেশনের পর ঢাকায় নেওয়ার কথা বলেছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু, তার আগেই জাহেদুল মারা গেছেন।’’
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।