দেশে নির্বাচিত সরকার নেই। সে কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নিতে হবে। এ কথাগুলো বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

সোমবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, এই সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা; কিন্তু সরকার তার মূল লক্ষ্যের বাইরে এমন সব কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। জনতা ও দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি করছে। অন্তর্বতী সরকারকে এই ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে আসতে হবে।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, কেন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের পরিচালনার দায়িত্ব ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দিতে হবে, সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোনো আলোচনা নেই। এই বন্দর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত ছাড়া করা যাবে না। দেশে যেহেতু নির্বাচিত সরকার নেই, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সরকারকে সতর্ক করে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘বিতর্ক এড়িয়ে জুলাই অভ্যুত্থানকে সার্থক করতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা, মৌলিক সংস্কারকাজকে গতিশীল করা এবং অর্থনীতিকে সবল করার কাজে মনোযোগ দিন। রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক কাজে ব্যর্থ হলে জুলাইয়ের রক্ত আমাদের ক্ষমা করবে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দলগ ল র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৯ ঘণ্টা সড়কে লাশ রেখে দুই থানার ঠেলাঠেলি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় শুক্রবার ভোরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে যায় থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। ওই ব্যক্তি কীভাবে 
মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না তারা। এ কারণে লাশ বুঝে নিতে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে ঠেলাঠেলি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর দুপুরে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মৌচাক এলাকায় ভোর ৫টার দিকে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সেখানে যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। তবে কারা লাশ উদ্ধার করবে, এ নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। থানা পুলিশ বলে, খুন হয়ে থাকলে তারা উদ্ধার করবে। আর সড়ক দুর্ঘটনা হলে হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করবে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলে, মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধার করবে থানা পুলিশ। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করে। ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত দেখে তারা নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এরপর বেলা ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেন হাইওয়ে পুলিশ শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ভোরে কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় লোকটি নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘লাশ দেখে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হচ্ছিল না। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড ভেবে থানা পুলিশকে লাশটি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘লাশটি মহাসড়কে ছিল। তাই হাইওয়ে পুলিশকে উদ্ধার করতে বলা হয়। লাশে আঘাতের দাগ থাকায় তারা উদ্ধার করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে থানা ও হাইওয়ে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য শুনে নিশ্চিত হয়– এটি সড়ক দুর্ঘটনা।’
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘লাশ আমাদের হেফাজতে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য এখনও হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। স্বজনদের পাওয়া না গেলে হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ