ফ্যাসিবাদের দোসরা আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে: শামা ওবায়েদ
Published: 20th, May 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা আমাদের দল ও সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে আমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে। তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। গত ১৭ বছরে সালথা-নগরকান্দায় বিএনপির বহু নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়ে বনে-জঙ্গলে থেকেছেন, তারপরও তারা ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাছে মাথানত করেননি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির সমর্থকদের ৩০টি বসতবাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শামা ওবায়েদ বলেন, নিজেদের মধ্যে কেউ ঝামেলা করবেন না। সকলেই সতর্ক থাকবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আপনারা সাধারণ জনগণকে কাছে টেনে নেবেন, কিন্তু যারা দেশ ও বিএনপির ক্ষতি করবে তাদের থেকে দূরে থাকবেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এই দল যাতে আগামী দিনে ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে সেজন্য আমাদের সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহীন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুল হক, যদুনন্দী ইউনিয়ন বিএপির সভাপতি হুমায়ন খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীতা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র আম দ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কিশোর-তরুণদের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে হামলা, ছুরি মেরে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে রাহুল আহমেদ খান (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ওই হামলায় আরও দুই তরুণ আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার খাসের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহুলের বাবা উপজেলার স্থানীয় ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য ও মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। প্রায় দুই বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও এতে অংশ নেননি রাহুল। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন রাসেল ও আসিফ। এই দুই তরুণও একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল কিশোর-তরুণদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ১০ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মেদুলিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েকজন কিশোর-তরুণের সঙ্গে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে খাসের চর গ্রামে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাহুলের ওপর হামলা করেন ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর-তরুণ। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রাহুল। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গী রাসেল ও আসিফ-ও এ হামলায় আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাহুলকে উদ্ধার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ সময় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রাহুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাহুলের বাবা নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় নয়াপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (১৮); কামুড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন (১৯) ও তানভীর হোসেন (১৮) এবং খাসের চর গ্রামের রাজীব হোসেনসহ (১৯) আরও কয়েকজন কিশোর-তরুণ রাহুলের ওপর হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা জানিয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাঁর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত আছে। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।